কাদের মোল্লার মৃত্যুর আগে করা অছিয়ত রাখলেন না জামায়াত

    0
    260

    “অন্য দিকে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুর আগে করা অছিয়ত নিকটবর্তি দের জন্য পালন করা জরুরি। কিন্তু ইসলামের নামে রাজনীতি করলেও জামাত শিবির ইসলামী আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলিই দেখাল”

    আমারসিলেট24ডটকম,১৪ডিসেম্বরঃ কাদের মোল্লার কাছে নিকটবর্তি হিসেবে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বেশী দেখা যায়।কাদের মোল্লার মৃত্যুর আগে করা অছিয়ত রাখলেন না জামায়াত-শিবির। তার শেষ অনুরোধকে পায়ে ঠেলে দাফনের আগেই  সন্ত্রাস আর ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে সারাদেশে জামায়াত-শিবির।মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির কয়েক ঘণ্টা আগে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা শেষ অনুরোধ করেন, যাতে ফাঁসির পর সহিংসতামূলক সব ধরনের আন্দোলন ও মানুষের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকে তাঁর দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকরা।

    কারাগারে গিয়ে পিতার সঙ্গে শেষ সাক্ষাত্ করে বাইরে এসে কাদের মোল্লার এ অনুরোধের কথা জানান তাঁরই ছেলে হাসান জামিল। অথচ কাদের মোল্লার এই অনুরোধ কানেই তোলেনি জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। বরং হিংস্র থেকে হিংস্রতররূপে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরসহ নৃশংসতার সব পথেই যতটা পেরেছে, ততটাই নিয়েছে কাদের মোল্লার দল জামায়াত-শিবির

    । ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র দিন শুক্রবারের জুমার নামাজের পরপরই ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে দলটির কর্মীরা। রাস্তায় পার্কিং করে রাখা প্রাইভেট কার থেকে শুরু করে গরিবের রিকশা, ফুটপাতের দোকান কিছুই রক্ষা পায়নি জামায়াতের এ তাণ্ডব থেকে।অন্য দিকে ইসলামের দৃষ্টিতে মৃত্যুর আগে করা অছিয়ত নিকটবর্তি দের জন্য পালন করা জরুরি। কিন্তু ইসলামের নামে রাজনীতি করলেও জামাত শিবির ইসলামী আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলিই দেখাল। কাদের মোল্লার কাছে নিকটবর্তি হিসেবে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা বেশী দেখা যায়।এসব ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের সঙ্গে তাদের দলের নেতা-কর্মীরা সম্পৃক্ত নয় বলে  জামায়াতের কেহ কেহ বলছেন ।আরও বলছেন,জামায়াতকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এগুলো তারই অংশ।মৃত্যুর আগে করা অছিয়ত রাখলেন না জামায়াত-শিবির কেবল কাদের মোল্লার অনুরোধ এই অছিয়তই নয়, মানুষকে বোকা বানানোর জন্য বাদ জুমা গায়েবানা(?)( ইসলাম কি তা জায়েজ করেছে) জানাজার কর্মসূচি ডেকে তা পালন না করে অগ্নিসংযোগ আর ভাঙচুরের খেলায় মেতে ওঠে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট,সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গায়েবানা জানাজা পড়ার কর্মসূচি ছিল। গায়েবানা জানাজা পড়ার নামে একযোগে ঢাকাসহ  দেশের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস চালায় তারা। এ সময় রাস্তায় থেমে থাকা গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেল যা পেয়েছে, তার সবই ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

    বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার আগেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গাছ কেটে রাস্তাঘাট অবরোধ ও ভাঙচুর শুরু করে জামায়াত। গতকাল শুক্রবারও করলো তেমনটিই, যদিও শুক্রবার জামায়াত বা ১৮ দলীয় জোটের তরফ থেকে আজ শুক্রবার হরতাল, অবরোধ বা এ ধরনের কোনো কর্মসূচি ছিল না। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় হামলা চালায় দলটি। এ সময় পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়। গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশনে পেট্রলবোমা মারে শিবিরকর্মীরা। অতর্কিত এ পেট্রলবোমা হামলায় আহত হয় ১০ জন। বৃহস্পতিবার রাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের বাড়িতে বোমা হামলা করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।কমলগঞ্জে বিচার পতি এস কে সিনহার বাড়িতেও জামাত শিবির আগুন দিয়েছে বলে জানা যায়।