কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা পরীক্ষামূলক বাস বাংলাদেশে

    0
    257

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫জুন,এম ওসমান: কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা পরীক্ষামূলক বাস চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসটি রাত সাড়ে ১১টায় বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর আগে বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে কলকাতার ‘নবান্ন’ থেকে বাস পরিসেবার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    পরীক্ষামূলক এই বাস সার্ভিসে প্রথম যাত্রী হিসেবে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ অধিদফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসসহ পরিবহন ও প্রশাসনের কর্মকতা এবং সাংবাদিকদের নিয়ে ৩৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বাসটি পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বেনাপোল চেকপোস্টে তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান যশোর-১ ও ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম মনির, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার এ এফ এম আব্দুলাহ খান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য আমিনুর রব চৌধুরী, যশোর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, বেনাপোল শুল্ক ভবনের অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম শরিফুল আলম, বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন প্রমুখ।

    ভারতীয় অতিথিদের বরণ করে নিতে বিকেল থেকে বাংলাদেশের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন চেকপোস্টে।

    দু’দেশের কর্মকর্তারা জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে ঢাকায় দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকের পর বাণিজ্যিক ভাবে এই বাস সার্ভিস চালু হবে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পর্যন্ত বাস চলাচল করবে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটি ঢাকার উদ্দেশে বেনাপোল ছেড়ে যায়। শুক্রবার সকালে আখাউড়া হয়ে বাসটি আগরতলায় যাবে বলে তারা জানান।

    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ অধিদফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, বাসটি দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বাড়াবে। দেশের প্রশাসন, পরিবহন সেক্টর ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা বসেই এই রুটের যাত্রীদের ভাড়া ঠিক করবেন। ১২ জুনের পর থেকেই বাসটি নিয়মিত চলাচল করতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

    তিনি আরও বলেন, আগরতলা থেকে আসাম ঘুরে কলকাতা পৌঁছতে প্রায় ১৬শ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে আগরতলা যেতে মাত্র ৫শ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। এতে সময় বাঁচবে অনেক। চুক্তি স্বাক্ষরের পর পরই খুব কম সময়ে, সামান্য খরচেই ত্রিপুরার মানুষ আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা যেতে পারবেন।

    যশোর জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, বাসটি যাত্রীদের কাছে গ্রহণ যোগ্য হবে। অল্প সময়ে স্বল্প খরচেই বাসটিতে গন্তব্য স্থানে যাত্রীরা পৌঁছতে পারবেন।