করোনা ও ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে রক্ষা পেতে দোয়া করেছিঃফখরুল

0
962
করোনা ও ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে রক্ষা পেতে দোয়া করেছিঃফখরুল
করোনা ও ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে রক্ষা পেতে দোয়া করেছিঃফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবী করে বলেন-কর্মীদের কারো পরিবারে গত এক যুগ ধরে ঈদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘’ঈদ বলতে আমরা যেটা সবসময় বুঝি, সেই ঈদ আমাদের শুধু তিন বছর নয়, গত একযুগ ধরেই নেই। কারণ, আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা, মিথ্যা মামলা দেওয়া এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে যে, কারো মনে আর আনন্দ নেই। বেছে বেছে বিএনপির শুধু ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। যারা আসামি হন তাদের পরিবারে কখনো ঈদ আসে না। এটাই বাস্তবতা।‘’
শুক্রবার (১৪ মে) ঈদের জামাত শেষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
এবারের ঈদকে কষ্টের ও দুঃসময়ের বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘’দেশে একদিকে মহামারি করোনার ভয়াবহ আক্রমণ, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদী সরকারের অত্যাচার-নিপীড়ন। এসব কারণে ঈদ বলতে আসলে এখন কিছু নেই।‘’
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বলেন, ‘’আজকে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে,অত্যন্ত একটা কষ্টের মধ্য দিয়ে, দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে। কোভিড-১৯ আর ফ্যাসিবাদী সরকার, এই দুই দানবের হাত থেকে এই দেশ যেন রক্ষা পায়, জনগণ যেন রক্ষা পায় সেজন্য আজ আমরা দোয়া করেছি। সারা দেশে ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদ থেকে মুক্ত হতে আমরা যেনো শক্তি অর্জন করতে পারি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে পারি সেই দোয়া আমরা করেছি।’
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘’এই সরকারের নির্মমতার মধ্য দিয়ে আমরা চলছি। খালেদা জিয়া যখন আমাদের সঙ্গে থাকেন তখন উজ্জীবিত হই, তিনি অনুপ্রাণিত করেন। তিনি কারাগারে তিন বছর। এরপরও আমরা অনুপ্রাণিত হই। তিনি তো আছেন, বেঁচে আছেন, তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন। তার এই অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো-এটাই আমাদের আজকের দিনের শপথ।‘’
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দেশবাসীকে, জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক জানিয়েছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে। তিনি শুধু নিজের জন্য নয়, সারাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা দোয়া ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাত করেন। এ সময়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সও ছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবসময় ঈদের দিন দলীয় কর্মসূচি শেষ করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছেন।
ঈদের দিন জাতীয় স্থায়ী কমিটির পর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান,মহানগর বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তারা জিয়ার কনিষ্ঠ সন্তান মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন।