কমলগঞ্জ বিএনপি নেতা হাজী মুজিবের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে

    0
    260

    তিন নাবালক সন্তানের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার আবেদন বিধবা ভাতৃবধুর

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬জুলাই,ডেস্ক নিউজঃ    তিন নাবালক সন্তানের জীবন ও স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন রিপা আহমেদ চৌধুরী নামের অসহায় এক গৃহবধু।বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এ আবেদন জানান তিনি। আবেদনে বলা হয়, আমার স্বামী মরহুম শামীম আহমেদ চৌধুরী কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।

    তার মৃত্যুর পর সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে স্বামীর বড় ভাই মজিবুর রহমান আমাকে ও আমার সন্তানদের দুনিয়া থেকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তার অব্যাহত হুমকির কারনে আমার সন্তানদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে এবং লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমার স্বামীর জীবদ্দশায় তার বড় ভাই হাজী মুজিব আমার স্বামীর কাছ থেকে বহু টাকা ধার নেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জেল থেকে বের হওয়ার পর আমি হিসাব চাইতে যাই। তখন তিনি আমাকে প্রাণ নাশের হুমকী দেন। শুধু তাই নয় তিনি আমার স্বামীর সমস্ত সম্পদ আত্মসাৎ করেন।

    তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী হাজী মুজিবের স্ত্রীর কাছ থেকে সেগুন বাগিচাস্থ ‘ স্কাইভিউ ওসেন’ টাওয়ারে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করেন কিন্ত তখন তার ভাবী কাগজপত্র সম্পাদন করেন নি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমি আমার ভাসুর হাজী মুজিবকে কাগজপত্র সম্পাদন করার কথা বলি। তিনি দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করার এক পর্যায়ে জানতে পারি উনি ওই ফ্ল্যাট ব্যাংকে মর্গেজ রেখে লোন নিয়েছেন।

    তিনি আবেদনে আরো উল্লেখ করেন, পিতার অবর্তমানে চাচার কাছে ভাতিজা ভাতিজিরা নিরাপদ থাকে। কিন্তু চাচা নামের কলঙ্ক হাজী মুজিব উল্টো এতিম বাচ্চা ৩ টিসহ আমাকে পথে বসানোর অশুভ তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আমি আমার তিন সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। স্বর্ন চোরাকবারী স্বার্থান্বেষী হাজী মুজিব নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে যে কোনো সময় আমাকে ও আমার সন্তানদের হত্যা করতে পারে আমি সন্তানদের আগলে রেখে অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সেগুনবাগিচ্স্থ কনকর্ড টাওয়ারে বসবাসরত অবস্থায় গত ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল আকিস্মভাবে মারা যান। মৃত্যুকালে ২ মেয়ে সাদিয়া আহমেদ চৌধুরী, সাইদা আহমেদ চৌধুরী ও পূত্র মাহদি আমেদ চৌধুরী-এই তিন নাবালক সন্তান রেখে যান। এমনিতে স্বামীকে হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়ার উপক্রম হয়েছে গৃহবধু রিপা আহমেদের। এ অবস্থায় আপন ভাসুর কর্তৃক অনাকাঙ্খিত সম্পদ হরণে তিনি দুচোখে অন্ধকার দেখছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।এ ব্যাপারে হাজী মুজিবের ঘনিষ্ঠ এক রাজনৈতিক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ গুলো বানোয়াট কাহিনী,রাজনৈতিক ভাবে হাজী মুজিবকে কলঙ্কিত করতে  বিরোধীরা এটা সাজিয়েছে।তিনি বলেন সবাই জানেন হাজী মুজিব একজন বড় ব্যবসায়ী সে কেন তার ভাবী ও ভাতিজা ভাতিজীদের  ক্ষতি করবে ? এ ব্যাপারে হাজী মুজিবের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা সম্ভব হয়নি।