কমলগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

    0
    234

    আদালতে মামলাধীন জমি প্রকাশ্যে জবর দখলের অভিযোগ

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের শ্রীসূর্য্য গ্রামে আদালতে মামলাধীন জমি মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব বিস্তার করে প্রকাশ্যে দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।

    তবে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা নিজের ক্রয়কৃত বারো শতক জমিতে ঘর করছেন বলে দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রীসুর্য্য গ্রামের আনোয়ার খাঁন ও তার স্ত্রী শেলী খানম অভিযোগ করে বলেন, শ্রীসূর্য্য মৌজার এসএ খতিয়ান ৪৭০ এর ১৯৬৩ দাগের ২১ (একুশ) শতক ও এসএ খতিয়ান ৬৮৩ এর ১৯৬৪ দাগের ১৯ (উনিশ) শতক ভূমি সহ আরও অন্যান্য খতিয়ান ও দাগের ভূমি নিয়ে মৌলভীবাজার আদালতের স্বত্ব মামলা (৪৭/২০১৫) চলমান রয়েছে। তবে শ্রীসূর্য্য গ্রামের আপ্তাব আলীর পুত্র মবশ্বির আলী (৬৫) নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন। উনার ভ্রাতা মশাহিদ আলী (৫০) সহ অন্যান্য ভাড়াটিয়া লোকদের নিয়ে মামলাধীন ও আমাদের ভোগ দখলীয় ভূমি জোরপূর্বক জবর দখল করে গৃহ নির্মাণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    গত ২৬ জুন ও ২৮ জুন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার মাটি ভরাটক্রমে গৃহ নির্মাণের চেষ্টা করেন। এসব ঘটনায় তাদের বাঁধা প্রদান করলেও তারা মানতে রাজি নন। পরে গত ৩০ জুন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার বরাবরে এবং বৃহস্পতিবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    আনোয়ার খাঁন ও তার স্ত্রী শেলী খানম অভিযোগ করে বলেন, আমরা অভিযোগ দেয়ার পরও এসব বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করলেও তারা কোন সহযোগিতা করছেন না। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী থাকায় আদালতে মামলাধীন জমি জোরপূর্বক জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। মামলাধীন জমিতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরণের হস্তক্ষেপ ও দাঙ্গা হাঙ্গামা যেন না ঘটে সেজন্য তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    তবে অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মো. মবশ্বির আলী বলেন, আমার ক্রয়কৃত ও আদালতের রায়ে প্রাপ্ত বারো শতক জমিতে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করলেও শেলী বেগম তাতে আপত্তি জানাচ্ছেন।

    এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, মহিলার অভিযোগের কপি আমার কাছে আসেনি। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধার জমি হিসাবে মামলার রায়ও রয়েছে।