কমলগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীদের এতিম বানিয়ে টাকা আত্মসাত

    0
    248

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩১জানুয়ারী,কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ   কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালাছড়া হালিমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে পাশ্ববর্তী কালাছড়া মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার এতিম শিক্ষার্থী দেখিয়ে টাকা আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে অভিভাবকরা কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালাছড়া হালিমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্র সুজন মিয়া, ৪র্থ শ্রেনীর ইউনুছ আলী, মুহিন মিয়া, ৩য় শ্রেনীর মেহেরাজুল ইসলাম, লিপন মিয়া ও ৫ম শ্রেনীর রাব্বি মিয়াকে কালাছড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম জিহাদীর ছেলে তাজুল ইসলাম, নাতি তারেক ইসলাম, রশিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল আউয়াল এবং স্থানীয় ভাবে পরিচিত জিহাদী মসজিদের খতিব গত ২৯ জানুয়ারী সোমবার বুঝিয়ে মৌলভীবাজার এক লন্ডনীর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রদেরকে কালাছড়া মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও এতিম বলে পরিচয় দিলে ওই লন্ডনী প্রত্যেককে নগদ ৫শত টাকা করে প্রদান করেন। বাড়ী ফেরার সময় তাজুল, তারেক, রশিদ ও মসজিদের খতিব ছাত্রদের নিকট থেকে টাকাগুলো নিয়ে নেন।

    বিষয়টি ছাত্রদের নিকট থেকে অভিভাবকরা জানলে স্থানীয় ভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিভাবক আলী আকবর, গিয়াস উদ্দিন ও ফারুক মিয়া বলেন, কালাছড়ায় মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসা শুধু নামেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এ মাদ্রাসার কোন ভিত্তি নেই। প্রতি বছর সরকারি বই মাদ্রাসার নাম কর নেয়া হলেও সেগুলো বিতরণ করা হয় না। আর আমাদের ছেলেদের এতিম হিসেবে পরিচয় দিয়ে টাকা সাহায্য এনে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম বলেন, টাকা আত্মসাৎ এবং ছাত্রদেরকে এতিম বলার বিষয়টি সম্পুর্ন মিথ্যা। একজন প্রবাসী কিছু গরীব ছাত্রদের পাঞ্জাবি দেবার কথা বলায় তাদেরকে মৌলভীবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সামাজিক ভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হক বলেন, অভিযুক্তদের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।