কমলগঞ্জে সরকারি দরে ধান ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শংকা

    0
    224

    শাব্বির এলাহী,কমলগঞ্জ:   মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সরকারী ধান ক্রয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত চৌদ্দশো কৃষকদের কাছ থেকে ২৩০ মেট্রিক টন ধান কিনতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। অথচ সরকারি ভাবে ১ হাজার ৪০ টাকা ‍মূল্য দরে এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত উনিশশো মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পুরন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকৃত কৃষকদের নাম বাদ দিয়ে অকৃষকদের নাম তালিকায় অর্ন্তুভুক্ত করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। অনেক কৃষক জানে না তাদের নাম কৃষকদের তালিকায়। আবার অনেক কৃষকদের ধান দেয়ার মতো সামর্থ্য নেই। আবার বিদেশে অবস্থান করা ব্যক্তির নামও কৃষকের তালিকায়।

    এছাড়া আদ্রতার একটি প্রভাব পড়েছে ধান ক্রয়ে। গ্রামের বাজারে কৃষকরা সহজে ধান বিক্রি করতে পারেন কিন্তু গুদামে ধান ১৪ ড্রিগ্রী আর্দ্রতা না থাকলে ধান রাখেন না খাদ্য গুদাম কর্মকর্তারা। গুদাম সূত্র জানায়, গুদামে ধান আসার মাত্রা খুবই ধীরগতিতে এগোচ্ছে। কেনার গতি না বাড়লে নির্ধারিত সময়ে অর্ধেক লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ধান বিক্রিতে অনাগ্রহের কারণ জানতে কথা হয় বেশ কয়েকজন তালিকাভুক্ত কৃষকের সঙ্গে। তাঁদের একজন আব্দুল মালিক।

    তিনি উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের তালিকাভূক্ত মাঝারি কৃষক আব্দুল মালিক জানান,‘আমি জানতামই না আমার নাম তালিকায় আছে। কেউ জানায়নি। তাই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি। একই গ্রামের তালিকাভুক্ত কৃষক রুবেল মিয়া বিদেশ থাকেন। অথচ তার নাম কৃষকের তালিকায়। একই ভাবে কমলগঞ্জ পৌরসভা, ইসলামপুর, শমসেরনগর, আলীনগরসহ অন্যান্য ইউনিয়নগুলোর কৃষক তালিকায় অনিয়ম করা হয়েছে। ভানুগাছ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সবিতা দেবী ও শমসেরনগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাকির আহমেদ জানান, অনেক কৃষক নিদিষ্ট পরিমাণ ধান দিতে পারছেন না।

    আদ্রতা বজায় রাখতে গিয়ে কিছু কিছু কৃষক ধান দিতে চাননি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়,লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকরা ২৬ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি সর্বোচ্চ ৫০০ কেজি ধান বিক্রি করতে পারবে। কৃষক তালিকায় অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।
    কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ধান সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি আশেকুল হক বলেন, ঠান্ডার কারণে কৃষকদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে অনিয়মের বিষয়টি তিনি দেখবেন।