কমলগঞ্জে লটারির বদলে টাকা নিয়ে শ্রমিক নিয়োগ

    1
    339

    আমারসিলেট24ডটকম,২৩নভেম্বর,শাব্বীরএলাহীঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নগদ টাকা নিয়ে বিশেষ কর্মসৃজন প্রকল্পে মহিলা শ্রমিক নিয়োগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শমশেরনগর ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে শ্রমিকদের নামের তালিকা করার কথা থাকলেও টাকা নিয়ে পছন্দের শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অধিকার বঞ্চিতরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শমমেরনগর ইউনিয়নে বিশেষ কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীন এলজিইডি কমলগঞ্জ অফিসের মাধ্যমে গ্রাম্য রাস্তা সংস্কার কাজে কিছু মহিলা শ্রমিক নিয়োগ করা হবে।

    এক্ষেত্রে যারা বেকার ও ১৮ বছরের উর্দ্ধে এমন সব মহিলা শ্রমিক এ কাজের সুযোগ পাবেন। তবে আগ্রহী শ্রমিক সংখ্যা বেশী হলে লটারির মাধ্যমে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ হিসাবে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ ও এলজিইডি কমলগঞ্জ অফিসের এক কর্মচারী আগ্রহী প্রার্থীদের সবার নাম ও তাদের পরিচয় পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করেন। লটারির নাম করে সময় ক্ষেপন করে এলজিইডি অফিসের কর্মচারী শমশেরগর চা বাগানের কিছু মহিলা শ্রমিকদের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে বিশেষ কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক নিয়োগ করে তাদের তালিকা চুড়ান্ত করেছেন। অনিয়ম করে করা তালিকায় চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক ও ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদেরও নিয়োগ করা হয়েছে।

    অভিযোগকারী গঙ্গা রেলি, শুভা নাইডু, নিরামনি রেলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ অনিয়মের কথা জানিয়ে গত ৩ সপ্তাহ ধরে তারা শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে দফায় দফায় মৌখিকভাবে আবেদন করলেও চেয়ারম্যান এর কোন সুরাহা করেননি। অন্যদিকে অনিয়ম করে নিয়োগ করা মহিলা শ্রমিকদের নামে ব্যাংকের সকল কাগজপত্র তৈরীও চুড়ান্ত পর্যায়ে রাখা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে গত ২১ নভেম্বর কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়।শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে বলেছেন নতুন করে প্রকাশ্যে লটারির মাধ্যমে বিশেষ কর্মসৃজন প্রকল্পে মহিলা শ্রমিকের তালিকা করতে।

    কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখতে এলজিইডি প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ মহিউদ্দীন চৌধুরী বলেন, অভিযোগপত্র পেয়েছেন। তিনি তদন্তক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।