কমলগঞ্জে মেয়র প্রার্থীর প্রচারণা গাড়িতে দুবৃত্তদের আগুন

    0
    353

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আওয়ামীলীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থীর প্রচারণার গাড়িতে দুবৃত্তদের আগুন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই কমলগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারনার সাথে কিছুটা উত্তেজনা শুরু হয়েছে। বুধবার রাত ১১টায় কমলগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালনগর গ্রাম এলাকায় আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো. জুয়েল আহমেদের প্রচারণার সিএনজি অটোরিক্সয় হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটেছে।
    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাতে প্রচারণা শেষে আওয়ামীলীগের মনোনিত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো. জুয়েল আহমেদের প্রচারণার মাইক লাগানো সিএনজি অটো রিক্সাটি চালক শফিক মিয়া বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল। রাত ১১টার দিকে চালক যুদ্ধাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে সিএনজি অটো নিয়ে যাবার পথে অতর্কিতে এসে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। হামলায় সিএনজি অটোরিক্সার সাইডের পর্দা ছিড়ে ফেলে ভাঙ্গচুর করে একদিকে অগ্নি সংযোগ করে। ঘটনার খবর পেয়েই রাতে কমলগঁঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে।
    আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ বলেন, এবারের নির্বাচনে তাকে আবারও দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়ার পরও দলীয় আরও দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। ফলে শুরু থেকেই প্রচারণায় তাকে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা চলছিল। এমনিভাবে বুধবার রাতে প্রচারণা শেষে তার ভাড়া করা একটি সিএনজি অটোরিক্সা চালক ১নম্বর ওয়ার্ডের যুদ্ধাপুর গ্রামে যাচ্ছিল। তখন সিএনজি অটোরিক্সার ওপরে মাইক লাগানো থাকলেও আচরণবিধি মেনে কোন প্রকার প্রচারণা হয়নি। তিনি মনে করেন তার প্রতিদ্বন্ধীদের মাঝে হয়ত কোন একটি পক্ষের দুর্বৃত্তরা তার প্রচারণার সিএনজি অটোরিক্সায় হামলায় চালায়। তিনি রাতেই থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। দুর্বৃত্তরা শুধু সিএনজি অটোরিক্সার সাইড পর্দা ছেড়েনি তারা ভাঙ্গচুরের সাথে অটোরিক্সার এক দিকে অগ্নি সংযোগ করে। তিনি মনে করেন পুলিশ জোর তদন্ত করলে হামলাকারীদের পরিচয় বের করতে পারবে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।
    কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ তার হাতে আসেনি। তারপরও পুলিশ জোর তদন্ত করছে।