কমলগঞ্জে মিলাদুন্নবীর মিছিলে হামলাকারীর শাস্তি দাবী

    0
    224

    মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬ডিসেম্বর,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উদ্যোগে পরিচালিত পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর জুলুছে (মিছিলে) অংশগ্রহণকারীদের উপর অতর্কিত হামলা করে প্রাণে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় গুরুত্বর ভাবে মোঃ রমজান আলী (২২) পিতা মৃত আলী আকবর ও আমির হোসেন (১৫) পিতা সেলিম মিয়া  আহত হন।আহতরা জেলাসদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    আজ বুধবার সকাল ১১ টায়  উপজেলা সদরের চৌমুহনা  চত্বরে মানববন্ধন ও শহরে  বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছেন আহলে সুন্নাত নেতৃবৃন্দ।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা অাব্দুল মুহিত হাসানী, হাফেজ মোশাইদ অালী,হাজি আফরোজ উদ্দিন,হাজি আব্দুল হাই,মাও আব্দুল কাইয়ুম আল কাদেরী,মাও নুরুল ইসলাম, মইনুল ইসলাম খান,এম মুহিবুর রহমান মুহিব,হাজি ইজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ,মামুনুর রশিদ মামুন,আব্দুল কাইয়ুম,অাব্দৃল মালিক বাবুল, মাওলানা এমরান অালী, এম এম রাসেল মোস্তফা,জুনেদুল ইসলাম আদনান,কামরুল ইসলাম, মাও অাব্দুল মুকিদ,মাও রোমেল আহমদ  খান,আনোয়ার আলি,বদরুল আলম বিল্লাল,হারুনুর রশিদ  প্রমুখ।

    এতে জুবায়ের আহমদ এর পরিচালনায় সভাপতিত্ব করেন অাহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কমলগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি দুরুদ অালী।

    উল্লেখ্য,কমলগঞ্জে জশনে জুলুস পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবীর মিছিল চলাকালীন সময়ে মিলাদুন্নবী বিরোধী সন্ত্রাসী আব্দুস সামাদ অতর্কিত ভাবে  ক্ষুর দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে প্রথমে আমির হোসেনকে পরে তাকে বাঁচাতে  দৌড়ে আসা তার চাচা রমজান আলীকেও গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

    একই এলাকায় চিহ্নত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত মিলাদুন্নবী বিরোধী মোঃ করিম মিয়ার (বাটটি করিম) পুত্র আব্দুস সামাদ (২২) অতর্কিত ভাবে ধারালো ক্ষুর দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এই বর্বর হামলায় রমজান আলীর গলায়,বুকের বাম পাশে  ক্ষুরের আঘাতে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়। মারাত্মক আহত অবস্হায় প্রথমে তাকে স্থানীয় কমলগঞ্জ স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্হা আশংকজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

    এ ঘটনায় আহতের মামা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও  ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও সন্ত্রাসী আব্দুস সামাদকে আটক করেনি পুলিশ।এ ঘটনার ফলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে যে কোন সময় সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সচেতন মহলের ধারনা।

    এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ সুত্রে জানা যায় আসামী সন্ত্রাসী আব্দুস সামাদকে আটকের চেস্টা চলছে।