কমলগঞ্জে পরীক্ষার্থীরা জিম্মি করে দ্বিগুণ টাকা আদায়

    0
    298

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কমলগঞ্জে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফরমপূরনে বোর্ড নিধারির্ত ফি ছাড়া ও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোচিং, জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসের বেতন, উন্নয়ন ফি সহ আনুষঙ্গিক খাত দেখিয়ে ফি ধার্য করে দ্বিগুন পরিমান অর্থ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে ইচ্ছে মতো ফি আদায় করার ফলে পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমুহের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে।
    সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মানবিক শাখায় নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ১ হাজার ৭শ’ ২৫ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখায় ১ হাজার ৮শ’ ৪৫ টাকা হারে ফি আদায় করে বোর্ডে জমা দেয়ার কথা। তবে উপজেলার ২১টি বিদ্যালয়ে ফরম পূরনের নির্ধারিত ফি ছাড়াও কোচিং এর জন্য ৬শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী মাসের বেতন, অনলাইনে কার্যক্রম, প্রিন্ট-ফটোষ্ট্যাট, বোর্ডে আসা যাওয়ার খরচ বিভিন্ন খাত দেখিয়ে সর্বনিম্ম ২ হাজার ৬শ’ থেকে সর্ব্বোচ্চ ৫ হাজার ৫শ’ টাকা আদায় করা হচ্ছে। তবে ফরম পুরনে বাড়তি টাকা আদায়ে দুদকের সতর্কতার কারনে কৌশল হিসাবে প্রতিষ্ঠান সমুহ বোর্ডের টাকা ও দু’মাসের বেতন, কোচিং ফি হিসাবে আলাদাভাবে প্রকাশ করছে। এসব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার রশিদপত্রও দেয়া হচ্ছে না।
    কয়েকজন অভিভাবক ও পরীক্ষার্থী বলেন, ফরম পুরনের টাকার সাথে কোচিং, দুই মাসের বেতন সহ অন্যান্য নানা খাত দেখিয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
    কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ফরম পূরণে ২ হাজার ৬শ’ টাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ শমশেরনগর ৫ হাজার ৫শ’ টাকা, তেঁতইগাও রশিদ উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৮শ’ টাকা, পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৮শ’ টাকা, মুন্সীবাজার কালীপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৬শ’ টাকা, শমশেরনগর এএটিএম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৮শ’ টাকা, হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার টাকা, এম.এ.ওহাব উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৫শ’ ৫০টাকা, পদ্মা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৫শ’ টাকা, কমলগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৬শ’ টাকা, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৬শ’ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে।
    বাড়তি টাকা আদায় বিষয়ে জানতে চেয়ে কমলগঞ্জ মডেল সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রনেন্দ্র কুমার দেব, পতনঊষার উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ফয়েজ আহমদ, কালী প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র কুমার পাল সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলেন, নির্ধারিত ফি ছাড়া পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ক্লাসের জন্য কোচিং ফি ও দুই মাসের বেতন আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া অনলাইন ও বোর্ডে আসা যাওয়ার যে খরচ হবে সেটিও এখান থেকে ব্যয় করা হবে।
    অভিযোগ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীন বলেন, ফরম পুরণে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে বলে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে গুরুত্বসহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।