কমলগঞ্জে নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে সংঘর্ষে ৫নারী আহত

    0
    455

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭জুলাই,শাব্বির এলাহী: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার ইউনিয়নের শ্রীসূর্য্য নোয়াগাঁও গ্রামে নতুনভাবে নির্মিত বিদ্যুৎ লাইনের তার টানানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও রাতে বাড়িতে প্রবেশ করে হামলায় ৫ নারী আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আজমল আলী বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। রোববার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে।

    কমলগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতায়নের নতুন লাইন স্থাপনের পর শ্রীসূর্য নোয়াগাঁওয়ে তার টানানোর কাজ চলছিল। নক্সার বাইরে অপরিকল্পিতভাবে খুঁটি স্থাপন করায় আজমল আলী একই গ্রামের মুজিবুর রহমান, রুমান মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য আশিক মিয়ার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এ গ্রামে দুই পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। উত্তেজনার অংশ হিসাবে রোববার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রথম দফা আজমল আলীর মেয়ে শাহিনা আক্তার, মুমিনা বেগম, রুবিনা বেগমদের সাথে মুজিবুর রহমান, রুমান মিয়া গংদের সাথে তর্কবিতর্ক ও সংঘর্র্ষ বাঁধে। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় আবার আজমল আলীর বাড়িতে  প্রবেশ করে মুজিবুর রহমান ও রুমান মিয়া গং মারপিট করেন। এ মারপিটে আজমল মিয়ার স্ত্রী মুমিনা বেগম (৪০), মা ছমিরা খাতুন (৫৫), মেয়ে শাহিনা আক্তার (২৫), রুবিনা বেগম (১২) ও প্রতিপক্ষের সিতারা বেগম (৪০) আহত হয়েছেন। সোমবার তিনি (আজমল আলী) কমলগঞ্জ থানায় মুজিবুর রহমান ও রুমান মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ করেছেন।

    অভিযোগের ব্যাপারে বিবাদী মুজিবুর রহমান বলেন, তার উপর আরোপিত অভিযোগ সঠিক নয়। আসলে আজমল আলীর পরিবার অন্যায়ভাবে বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনে আপত্তি জানানো নিয়ে একই গ্রামের কনাই মিয়ার পরিবার সদস্যদের তর্কবিতর্ক ও সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে কনাই মিয়ার পরিবারেরও তিন সদস্য আহত হয়ে এখন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সাবেক ইউপি সদস্য আশিক আলী বলেন, আসলে গ্রামে সরকারী বরাদ্দে যাতে সবাই সহজে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে পারে সে ব্যাপারে তিনি কাজ করেছেন। রোববারের দুই পক্ষের সংঘর্র্ষে তিনি কোনভাবে জড়িত নন। আসলে দুই পক্ষের পূর্ব বিরোধে নতুন করে সংঘর্ষে গড়িয়েছে।

    শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান থানায় অভিযোগ গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিন তদন্ত শেষে বোঝা যাবে আসলে শ্রীসূর্য নোয়াগাঁও গ্রামে কি ঘটেছিল।