কমলগঞ্জে ধান ক্ষেতে মড়ক

    0
    235

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১অক্টোবর,শাব্বির এলাহীঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চলতি আমন মৌসুমে ফসলি জমিতে ব্যাপক আকারে মড়ক বা ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। আক্্রান্ত ধানী জমি লালচে হয়ে চারা মরে যাচ্ছে। এতে করে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। কৃষি বিভাগ কৃষকদের এমওপি,ইউরিয়া ও জিফসালফেট সার একসাথে মিশিয়ে প্রয়োগের পরামর্শ দিলেও  কৃষকরা কোন উপকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

    কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে  ১৭হাজার ১২৭হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ১৭হাজার ১৫০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ সম্পন্ন  হয়েছে।চাষাবাদকৃত জমির বিভিন্ন অ লে ধানক্ষেতে প্রথমে চুঙ্গী পোকার আক্রমণ দেখা যায়। চুঙ্গী পোকার আক্রমণ রোধ হলেও ব্লাস্ট রোগ বা মড়ক তীব্র আকার ধারণ করে। ফলে ধানী জমি লালচে হয়ে ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করছেন।উপজেলার আদমপুর,ইসলামপুর ,শমসেরনগর কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার ধানক্ষেতে মড়কের অক্রমণ দেখা দিয়েছে।

    সরজমিন ঘুরে কৃষক সাদেক হোসন, সুলতান মিয়া,বাদশা মিয়া জসিম উদ্দীন,নাজিম দুলাল মিয়া রূপেন ইয়াকুব মিয়া প্রমুখ কৃষকের সাথে আলাপকালে জানা যায়,ধান ক্ষেতে মারাত্মক আকারে মড়ক দেখা দেওয়ায়  তারা বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন।তবে সংশ্লিষ্ট কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ায় তারা সমুহ ক্ষতি তেকে পরিত্রানের আশা করছেন। আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে ধানের এ লালচে রোগের কথা স্বীকার করলেও কৃষকরা পরামর্শমতো সার প্রয়োগের ফলে মড়ক থেকে পরিত্রান পাচ্ছে॥

    সারা উপজেলায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানা যায়।ধানী জমিতে মড়ক বিষয়ে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামছুদ্দিন আহমদ বলেন, জিংকের অভাবজনিত কারণে কিছু কিছু এলাকায় ধান গাছ লালচে হয়ে যাচ্ছে।

    এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য ৫কেজি ইউরিয়ার সাথে ৩কেজি এমওপি সার মিশিয়ে ধান ক্ষেতে প্রয়োগ করলে তিনদিনের মধ্যে তা সেরে যাবে। পুষ্টি ঘাটতির কারণে যেসব জমিতে এই সমস্যা দেখা দিযেচে সেসব জমিতে মিশ্র সার প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।