কমলগঞ্জে ধরে নিয়ে মণিপুরী নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ

    0
    237

    কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: ক্ষেতের সবজি চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মনিপুরী সংখ্যালঘু নারীর উপর হামলা ও অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত নারী কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। ঘটনার পর মণিপুরী পল্লীতে আতংক বিরাজ করছে।

    জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের কাটাবিল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল লতিবের পুত্র উমেদ মিয়া (৫০) কর্তৃক মনিপুরী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্প্রদায়ভুক্ত নারী চাউবিহান দেবী (৬০) এর উপর এলোপাতাড়ি মারধরের ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, ঐদিন বিকেলে উমেদ মিয়া তার ক্ষেতের সবজি চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চাউবিহান দেবীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে সবজি ক্ষেতের মধ্যে লাঠি দিয়ে এলোপাতারি মারতে থাকে। তখন চাউবিহানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে চাউবিহানকে রক্তাক্ত ও মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (কমলগঞ্জ থানার জিডি নং ৯০১, তারিখ: ২০/০৯/২০২০ইং) করা হয়েছে।

    এলাকাবাসী জানান, উমেদ মিয়া কর্তৃক মনিপুরী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকিসহ কাটাবিল গ্রাম থেকে মণিপুরী সম্প্রদায়কে বিতারিত করবে বলে হুমকি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় কাটাবিল গ্রামে সংখ্যালঘু মণিপুরী পল্লীতে আতংক বিরাজ করছে।
    স্থানীয়রা সংখ্যালঘু মনিপুরী সম্প্রদায়ভুক্ত নারীর উপর নির্যাতনকারী উমেদ মিয়াসহ তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।

    কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহত মণিপুরী নারীকে সোমবার কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে যান। ঘটনাটি তিনি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।