কমলগঞ্জে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে অনিয়ম

    0
    234

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২১এপ্রিল,শাব্বির এলাহীঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে বড় ধরনের অনিয়ম করার অভিযোগ উঠছে। লিখিত পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভকারীকে বাদ দিয়ে তৃতীয় স্থান লাভকারীকে নিয়োগ দেওয়ার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রথম স্থান লাভকারী প্রার্থী রোববার (১৯ এপ্রিল) কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ঘটনায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী পদের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করলে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ  পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন। লিখিত পরীক্ষায়  ইসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কানাইদেশী গ্রামের মালিক মিয়ার ছেলে শামছুদ্দীন আহমদ প্রথম স্থান লাভ করেন। পরীক্ষার ফলাফল বিবরণীতে প্রধান শিক্ষক শামছুদ্দীন আহমদকে প্রথম ও  আলাম উদ্দীনকে তৃতীয় স্থান স্থান লাভকারী দেখিয়ে স্থানীয় সাংসদের অনুমোদনক্রমে পূর্ণাঙ্গভাবে নিয়োগ দিতে উপজেলা শিক্ষা (প্রাথমিক) অফিসে ফাইল প্রেরণ করেছিলেন। দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পর সম্প্রতি একটি প্রভাবশালী মহলের প্রভাবে মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ আব্দুল মতিন ফলাফলে তৃতীয় স্থান লাভকারী আলাম উদ্দীনকে নিয়োগ দিতে মতামত পেশ করলে তাকেই ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

    নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভকারী শামছুদ্দীন আহমদ এ প্রতিনিধিকে বলেন, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ বিধি অনুযায়ী প্রথম স্থান লাভকারী প্রার্থী মুখ্য। পরবর্তী প্রার্থীরা বিবেচনাধীন। শামছুদ্দীন আরো বলেন তিনি বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার কথা থাকলেও অনিয়মের আশ্রয়ে তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সে জন্য সুবিচার প্রার্থনা করেই তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য অনিয়মের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনার্ধন প্রজাপতি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় শামছুদ্দীন আহমদ প্রথম স্থান লাভ করেছে। সে হিসাবে সাংসদের মতামতের উপর পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ অনুমতি প্রদানে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফলাফল বিবরণীসহ ফাইল শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছিল।  পরবর্তীতে কি হয়েছে তা তিনি বলতে পারেন না।

    কমলগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) ইফতেখায়ের হোসেন ভূঁঞা বলেন, সাংসদ বা উপজেলা চেয়ারম্যানের মতামতের উপর চুড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করা হয়। এ ক্ষেত্রে সাংসদ আব্দুল মতিন যার পক্ষে মতামত দিয়েছেন সেই প্রার্থীই নিয়োগ পেয়েছে।

    কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হবে।

    বিধির বাইরে কিভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান লাভকারীর পক্ষে মতামত ব্যক্ত করা হলো এ সম্পর্কে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে (০১৭১৬ ৬৮৭০০৬) সাংসদ আব্দুল মতিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, উপজেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই আমি মতামত দিয়েছি।