কমলগঞ্জে ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের মারপিট

    0
    223

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১ সেপ্টেম্বর,শাব্বির এলাহী: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (শারফিনা আক্তার) উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলে বখাটেদের মারপিটে গুরুতরভাবে আহত হয়েছে সহপাঠী ছাত্র। গুরুতর আহত ছাত্রকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রাসটিলা গ্রামে সোমবার (৩১ আগষ্ট) বিকাল চারটায় এ ঘটনাটি ঘটে।
    খোঁজ নিয়ে ও দক্ষিণ রাসটিলা গাউছিয়া সোবহানিয়া এরশাদিয়া সুন্নী মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, এ মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী (শারফিনা আক্তার) বনগাঁও গ্রামের মো: শহিদ মিয়ার মেয়ে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে রাসটিলা আনোয়ার মিয়ার বখাটে ছেল রকি মিয়া নিয়মিত নানাভাবে উত্যক্ত করে। ঘটনাটি জেনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এম কে শিহাব উদ্দীন বখাটে ছেলের বাবা আনোয়ার মিয়ার কাছে অভিযোগ করেও কোন সমাধান হয়নি। সোমবার (৩১ আগষ্ট) বিকাল চারটায় মাদ্রাসার ছুটি হলে ছাত্রীটি বাড়ি যাবার পথে রাসটিলায় পথ রোধ করে বখাটে রকি মিয়া ও সহযোগী সবুজ মিয়া উত্যক্ত করে। এসময় ছাত্রীর সহপাঠী শামীম আহমদ প্রতিবাদ করলে বখাটে রকি ও সবুজ তাকে (প্রতিবাদকারী ছাত্রকে) বেদড়কভাবে মারপিট করে দ্রত স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। পরবর্তীতে গ্রামবাসীরা আহত ছাত্র শামীমকে উদ্দার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত ছাত্রের কান দিয়ে অবিরত রক্ত বের হতে থাকায় ও মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় সোমবার সন্ধ্যায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
    দক্ষিণ রাসটিলা গাউছিয়া সোবহানিয়া এরশাদিয়া সুন্নী মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এম কে শিহাব উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বখাটে রকি মিয়া বেশ কিছু দিন ধরে এই ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করছে। এ ঘটনায় ছেলের বাবার কাছে অভিযোগ করেও কোন সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। সোমবার বিকালে শুধুমাত্র উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আবার ছাত্রীর এক সহপাঠীকে বেদড়কভাবে পেটানো হলো। অধ্যক্ষ আরও বলেন, বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানকে অবহিত করলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন। কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া শফি বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
    ছাত্রীর বাবা মো: শহিদ মিয়া বলেন, অধ্যক্ষের মাধ্যমে বখাটে ছেলের বাবার কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন সুবিচার পাওয়া যায়নি। এক সহপাঠী প্রতিবাদ করায় মারপিটের মিখার হয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এখন তিনি আতঙ্কের মাঝে আছেন মেয়েকে কিভাবে মাদ্রাসায় পাঠানো যায় বলে। অভিযুক্ত বখাটে রকি মিয়া, রকির বাবা আনোয়ার মিয়া ও সবুজ মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
    কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। তবে খোঁজ নিয়ে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।