কমলগঞ্জে গাছ ফেলে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা:ডাকাতিতে আহত-৫

    0
    253

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৫জুন,শাব্বির এলাহী: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের পাহাড়ি রাস্তায় গাছ ফেলে পান বোঝাই ট্রাক আটকিয়ে ডাকাতির পাশাপাশি চা শ্রমিক সন্তান স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ডাকাত দল। ডাকাতদের  আক্রমনে স্কুল শিক্ষিকা ও ট্রাক চালকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ট্রাক চালক ও স্কুল শিক্ষিকাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাত সোয়া ১০ টায় শমশেরনগর-ডবলছড়া সড়কের পাগলাতল ইটসলিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে চিকিৎসাধীন ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জি জুনিয়র হাই স্কুলের শিক্ষিকা মনি রানী গোয়ালা (৩৩) জানান,  মায়ের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে খাসিয়া পুঞ্জি থেকে বেতনের ও টিউশনির টাকা নিয়ে এদিন রাত সাড়ে ৯টায় খাসিয়া পান বোঝাই একটি ট্রাকে করে শমশেরনগর চা বাগানে নিজ বাসায় ফিরছিলেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে ট্রাকটি পাগলাতল ইটসলিং এলাকায় নির্জন স্থানে আসার পর রাস্তায় গাছ ফেলে ৭/৮ জনের একটি দল ট্রাকের গতিরোধ করে। ডাকাতদল গলায় দা ধরে টাকার জন্য মারধর  করে। তার কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন, স্বর্নের একটি চেইন, চালক রহম উল্যাকে মারধর করে তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও আলিফ মিস্ত্রী নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়।  এছাড়াও ট্রাকের পিছনে আসা একটি মোটর সাইকেল আরোহী হেপি খাসিয়া ও রেডিয়াম খাসিয়াকে মারধর করে টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়।

    ঘটনার খবর পেয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মতিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে গিয়ে আহতদের দেখে তাদের বক্তব্য জানেন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    ডাকাতদলের আক্রমনে আহত শিক্ষিকা মনি রানী গোয়ালা, ট্রাক চালক রহম উল্যা চিকিৎসার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি হয়েছেন। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে বাড়ি ফিরে গেছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    কমলগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই আব্দুল আজিজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে এ প্রতিনিধিকে জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত এজাহার দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ পুরো বিষয়টি গুরুত্ব¡ সহকারে খতিয়ে দেখছে। কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. এনামুল হককে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।