কমলগঞ্জে ইউএনও’র বিরুদ্ধে আত্মসাত চেষ্টার অভিযোগ

    0
    224

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪ফেব্রুয়ারী,শাব্বির এলাহীঃ কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাক্সফোর্সের মাধ্যমে আটক করা গাছ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। চিরাই শেষে আসবাবপত্র তৈরীর প্রাক্কালে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের বিষয়টি জানাজানি হলে ফার্নিচার দোকান থেকেই পুনরায় কাঠগুলো রেঞ্জ অফিসে পাঠান ইউএনও। ফার্নিচার দোকান থেকে বনবিভাগের লোক দ্বারা চিরাই কাঠ নেয়া হলে রেঞ্জ অফিসে প্রেরিত চিঠিতে বলা হয়েছে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব কাঠ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে কমলগঞ্জের অফিসার থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলে চলছে বিভিন্ন গুঞ্জন।

    রাজকান্দি রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারী কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার নেতৃত্বে ট্রাস্কফোর্সের মাধ্যমে ২৩ টুকরোয় ৫৮.৯১ ঘনফুট বেলজিয়াম, জাম ও কাঠাল গাছ আটক করা হয়। সে সময় আটক গাছগুলো রেঞ্জ অফিসে জমা না দিয়ে উপজেলা প্রশাসনিক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। হঠাৎ করে গত ৩ ফেব্র“য়ারী নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আটক কাঠগুলো কমলগঞ্জ মডেল হাই স্কুল সংলগ্ন ফার্নিচার জনৈক ব্যবসায়ী এর নিকট সমঝিয়ে দিয়ে সেগুলো চিরাই করে আসবাবপত্র তৈরীর নির্দেশ দেয়া হয়। সে মোতাবেক এই ফার্নিচার ব্যবসায়ী পানিশালা গ্রামস্থ আব্দুল হান্নান এর সমিলে কাঠগুলো চিরাই করে নিজ দোকানে নিয়ে যান। ইতিমধ্যে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান জেনে যান। সেজন্য ৪ ফেব্র“য়ারী কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে রেঞ্জ কর্মকর্তা বরবার একটি চিঠি দিয়ে আটক কাঠ হারানোর পর সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় কমলগঞ্জ মডেল হাই স্কুল সংলগ্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে তা রেঞ্জ অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে উলে¬খ করা হয়।

    ফার্নিচার ব্যবসায়ী বলেন, তিনি ৩ ফেব্র“য়ারী মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনিক এলাকা থেকে ৬ ঠেলা বেলজিয়াম, পরেশ ও মেহগনি এনে হান্নানের সমিলে চিরান। ৪ ফেব্র“য়ারী বুধবার বেলা ২ টার দিকে রেঞ্জ অফিসের সিরাজ তার দোকানে এসে ইউএনও সাহেব কাঠগুলো দিয়ে দিতে বলেছেন বলে জানায়। পরে সিরাজের মোবাইল ফোন থেকে ইউএনও অফিসের সি,এ মৃনাল কান্তি দাস নিমাইকে কাঠগুলো সিরাজের নিকট দিয়ে দেবার কথা বলেন। তাই তিনি কাঠগুলো সিরাজের নিকট সমঝিয়ে দিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, ট্রাক্সফোর্সের মাধ্যমে উদ্ধার করা কাঠে মেহগনি ও পরশ ছিল না। তাছাড়া বনবিভাগ ৩০ ফুট কাঠ ইউএনও অফিস থেকে তাদের নিকট সমঝিয়ে দিয়েছে বলে দাবী করলেও সমিলে ৬১ ফুট কাঠ চিরানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র লূকোচুরিতে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। আমার ধারনা উপজেলা প্রশাসনিক এলাকা থেকে মূল্যবান গাছ কেটে আগের কাঠের সাথে একত্রিত করা হয়েছে।