কমলগঞ্জের ব্যবসায়ী মজিদ হত্যা মামলার রায় আগামীকাল

    0
    419

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬আগস্ট,শাব্বির এলাহী: প্রেমের খেসারত-জীবন দিয়ে। এ কেমন প্রেম!। ভালবাসার মানুষটিকে ডেকে নিয়ে খুন। কি অপরাধ ছিল তার? প্রেম করার অপরাধে জীবন দিতে হয়েছে আবদুল মজিদকে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় আলোচিত তরুণ ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ হত্যা মামলার রায় ২৭ আগষ্ট বৃহষ্পতিবার সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মকবুল আহসানের আদালতে। নিহত মজিদের বাবা-মায়ের দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার পালা শেষ হবে বৃহষ্পতিবার। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবী জানিয়েছেন। এলাকাবাসীও ব্যবসায়ীরা খুনিদের উপযুক্ত শাস্তি চেয়েছেন।

    উল্লেখ্য, উপজেলার পতনউষার গোপীনগর গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে নয়াবাজারের তরুণ ব্যাবসায়ী আবদুল মজিদকে গত ২০১২ সালের ২৯শে আগষ্ট  বাড়িতে থেকে ডেকে নিয়ে রাতে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। নির্মম হত্যাকান্ডের নিন্দার ঝড় উঠে পতনউষার ইউনিয়নসহ কমলগঞ্জ উপজেলায়। তার অপরাধ ছিল প্রতিবেশি আজাদুর রহমানের মেয়ে আমেনা আক্তার জুই এর সাথে প্রেম। প্রেমটি আসামি আজাদুর রহমান মেনে নিতে না পারায় ২৯ আগষ্ট রাতে মেয়ের দুই ভাই আসামি রুবেল মিয়া (২৪) ও আসামি জুয়েল মিয়া (২৩) রাতে আবদুল মজিদকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রেমিকার বাড়ি নিয়ে যায়। রাতে খাওয়ানোর পর মজিদের হাত পা বেধে গাড় ভেঙ্গে, কান কেটে, কানে শিক ডুকিয়ে চোখ দুটি তুলে ফেলে এবং পুরুষাঙ্গ কেটে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে নৃশংসভাবে খুন করার পর লাশ মজিদের বাড়ির পিছনের ডোবায় ফেলে রাখে।

    পরে অনেক খুজাখুুজির পর পুলিশ ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে। নিহত মজিদের বাবা আব্দুর রহমান আজাদুর রহমানকে প্রধান আসামীকে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে পুলিশ প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলেও এলাকাবাসী প্রতিবাদের মুখে পুলিশ মামলার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। আসামীরা হলেন রুবেল, জুয়েল, আজাদ, মুহিদ, মাসুক, আফরুজ, সাহিন, আজমান, ডলি, আলমা ও প্রেমিকা জুইকে। পুলিশ ব্যাপক তদন্ত করে ২০১৩ সালের ৮ আগষ্ট ১১জনকে অভিযুক্ত করে  মামলার ফাইনাল চার্জশীট আদালতে দাখিল করা হয়। দীর্ঘ ২ বছর মামলাটি আদালতে চলার পর বৃহস্পতিবার ২৭ আগষ্ট সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে মজিদ হত্যা মামলার রায় প্রদান করা হবে।

    এদিকে মজিদ এর বাবা আব্দুর রহমান বলেন, তার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের উপযুক্ত বিচার হবে। তিনি সবার ফাঁসি দাবী করেন। এলাকাবাসীর উপেক্ষায় আছেন কি রায় হয় তা দেখার জন্য।