কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ

    0
    400

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,আগস্ট: সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ।  সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। তবে খুচরায় কমেছে মাত্র ৫ টাকা। এখনো খুচরা বাজারে পাইকারির চেয়ে প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
    ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে তারা প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলেন ৭০-৭৫ টাকায়, যা গতকাল ৬০-৭০ টাকায় নেমে এসেছে। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৭৫ টাকা, যা বর্তমানে তা ৬৫ টাকায় নেমে এসেছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮৫-৯০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায়। তবে গতকাল খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশী ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরায় এখনো প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০-১৫ টাকা বেশি ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে।
    সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাবে দেশের বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে পণ্যটির দাম। এ অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানিতে ঋণের সুদের হারে সীমা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
    জানা গেছে, এরই মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ২০০ টনের কয়েকটি লটে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করে। এরই মধ্যে দুটি দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে পাকিস্তান, মিসর ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।
    পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খুচরা বাজারগুলোয় সরকারের নজরদারি বাড়ানো গেলে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। পাইকারি বাজারের চেয়ে কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা লাভ করলেই যথেষ্ট। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা তা করছেন না। এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়ছে।
    দেশের বাজারে যে কোনো সময়ের চেয়ে কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের ব্যবহার ব্যাপক বেড়ে যায়। এ সময় অতি মুনাফার জন্য একশ্রেণীর মৌসুমি ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ রাখেন। উদ্দেশ্য, বাজার অস্থির করে মোটা অঙ্কের ফায়দা লুটে নেয়া। সেই সঙ্গে ভারতে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়াটা তাদের জন্য  সোনায় সোহাগা।