কথিত প্রভাবশালীদের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে দেহ ব্যবসার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক!

    0
    239

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৭জুন,মতিউর রহমান মুন্নাঃ নবীগঞ্জে নানা কৌশলে আবারো বেপরোয়া হয়ে উটেছে দেহ ব্যাবসায়ীরা। স্ব স্ব এলাকায় প্রভাবশালী কূচক্রি মহলের সেল্টারে দিন দিন চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এত ধ্বংশ হচ্ছে যুব সমাজ। অতি সম্প্রতি উপজেলার বহুল আলোচিত কুর্শি ইউনিয়নের বাংলা বাজারের আলোচিত মক্ষিরাণী সরদার জাহেরা ও তার সহযোগী পারভিনসহ খদ্দেরদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা সহ প্রশাসনের আওতায় আসার ৩/৪ দিন যেতে না যেতেই ফের সক্রিয় হচ্ছে দেহ ব্যবসার স্পট গুলো।

    উপজেলা সদর ও বাংলাবাজার এলাকায় প্রভাবশালী কথিত পাতি নেতাদের মাধ্যমে চলছে এসবের জমজমাট বাণিজ্য। প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিতে দুস্কৃতিকারীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে বাংলাবাজারে এক লন্ডন প্রবাসীর বিলাস বহুল বাসায় মক্ষিরাণী জাহেরা তার চাচাত্ব ভাই এক জনৈক ব্যক্তির ছত্র ছায়ায় দীর্ঘ দিন ধরে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৩ জুন গভীর রাতে থানা পুলিশের অভিযানে বাংলাবাজারস্থ এনাতাবাদ গ্রামের মৃত তাজুদ মিয়ার কন্যা পতিতা জাহেরা ও তার সঙ্গিয় পতিতা মৌলভীবাজার জেলা সদরের আবুল হোসেনের স্ত্রী পারভিন বেগমসহ ৩ খদ্দেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

    পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জনপ্রতি মাত্র ৫ শত টাকা করে জরিমানা আদায় করা হলে মুক্তি পেয়ে এলাকায় গিয়ে আরো সক্রিয় হয়ে উটে পতিতা চক্র। এছাড়াও বাংলাবাজারস্থ সমরগাঁও রোডে মক্ষিরাণী লুৎফা জনৈক ব্যক্তিদের সহায়তায় চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যাবসা, কিন্তু রয়েছে ধরা ছোয়ার বাহিরে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

    অপর দিকে নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ সড়কের পৌর এলাকার হালিতলা বাজারের নিকটস্থ এক মৃত লন্ডন প্রবাসীর বিলাস বহুল বিল্ডিংসহ আরো কয়েকটি স্পটে  চলে আসছে অবৈধ দেহ ব্যবসা। উপজেলা সদরের পৌরসভা অফিসের সিমানা দেয়ালের পিছনে মক্ষিরাণী পেয়ারা রাজধানি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পতিতা এনে দীর্ঘ দিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।

    এছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশঃ শরীরে বিভিন্ন ধরনের ড্রেস, মুখে ওড়না দিয়ে ডাকা। চোখ দুটি খোলা। স্নো-পাউডার মেখে একেবারে ফিটফাট। প্রথমে দেখে নিরেট কোনো ভদ্র, মার্জিত পর্দানশীল কেউ মনে হবে। পথচারির চোখে চোখ পড়ার সাথে সাথে ইশারায় বুঝিয়ে দেয়, তারা সমাজের অন্য নারীর মতো নয়। তাদের লক্ষ্য ভিন্ন। বুঝিয়ে দেয় অর্থ বিনিময়ে যে কারো সঙ্গে সময় কাটাতে প্রস্তুত। তাদের পরিচয় তারা ভাসমান পতিতা।

    নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে নিরাপদে এই ব্যবসা চালানোর জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় গড়ে তোলা হচ্ছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এভাবে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। নবীগঞ্জ শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিন নেই রাত নেই, চলছে ছদ্মবেশী পতিতাদের অবাধ বিচরণ। দিনকে দিন তাদের বিচরণ বাড়ছে, কমছে না। ক্রমে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।