কতিথ র‌্যাবের সোর্স দাবীদারদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

    0
    216

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,মে,মতিউর রহমান মুন্না:হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের বহুল আলোচিত কতিথ র‌্যাবের সোর্স দাবীদার কুখ্যাত থানার দালাল লন্ডন প্রবাসী আছাদ মিয়া, মামদ আলী ও আলমগীর মিয়ার বিরুদ্ধে আশপাশ এলাকার কয়েক গ্রামের নিরিহ মানুষ অতিষ্ট হয়ে উটেছে।

    এদের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার (১৮ মে) দুপুরে পুর্ব দেবপাড়া, কবুলেশ্বর ও হোসেনপুর গ্রামের মানুষ নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

    লিখিত বক্তেব্যে তারা জানান, আমরা এলাকার শান্তি প্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল লোক। আমাদের এলাকার সদরঘাট গ্রামের কতিথ র‌্যাবের সোর্স দাবীদার প্রভাবশালী দূর্নীতি পরায়ন, নারী লোভী, পর সম্পদ হরণকারী মামলাবাজ লন্ডন প্রবাসী আব্দুল কাদিরের ছেলে আছাদ মিয়া তার সহযোগী একই গ্রামের মজুদ মিয়ার ছেলে মামদ আলী ও ছদর উদ্দিনের ছেলে আলমগীর মিয়াকে নিয়ে র্দীঘ দিন ধরে অন্যায় ভাবে আমরাসহ আমাদের পূর্ব দেবপাড়া, কবুলেস্বর ও হোসেনপুর গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। সম্প্রতি আমাদের ৩ গ্রামবাসীর পুর্ব পুরুষের আমল থেকে ভোগ দখলে থাকা পতিত ও গরুচারণ ভুমিতে জোর পুর্বক মাটি কাটার চেষ্টা করলে আমরা বাধা প্রদান করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাহারা আমাদের উপর একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে উক্ত আছাদ মিয়া তার মামাতো ভাই রফিক মিয়াকে দিয়ে অপর ভাই ছালিক মিয়াকে লুকিয়ে রেখে আমাদের বিরুদ্ধে আরেকটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ গত ২৮ এপ্রিল মৌলভী বাজার এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে ১৬৪ ধারায় কোর্টে জবান বন্দি প্রদান করেন। উদ্ধারকৃত ছালিক মিয়া মৌলভী বাজার থানায় পুলিশের নিকট দেয়া জবানবন্দিতে বলে সে ওই এলাকায় ব্র্যাক অফিসে ৭ মাস যাবৎ কর্মরত। উক্ত মামলা সম্পর্কে সে অবগত নয়।

    এ ছাড়া নারী লোভী ও একাধিক বিয়ের হুতা আছাদ মিয়ার সহযোগী আলমগীর ও মামদ আলী এলাকায় থানার দালাল হিসেবে পরিচিত। তারা নিজেকে র‌্যাবের সোর্স বলেও দাবী করে। এতে করে গ্রামের সাধারণ মানুষকে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। এতে আমরা এলাকার মানুষ চরম নিরপত্তাহীনতায় রয়েছি। এছাড়া মামদ আলী একটি ধর্ষন মামলার আসামী।

    উল্লেখ থাকা আবশ্যক যে, ১৯৫০ সালে ভরারী মৌজার কিছু সংখ্যক মানুষ একটি লিখিত অঙ্গিকার নামায় আমাদের দখলীয় ভুমির উপর তাদের কোন দাবী নাই বলে ঘোষনা দেন। উক্ত গোচারন ভুমিতে প্রতিদিন কয়েক শতাধিত গরু চড়ানো হয়।

    ভুমি খেকো উক্ত আছাদ মিয়া আমাদের গ্রামবাসীর উল্লেখিত ভুমি ( দাগ নং ৩৪০৩, মৌজা ভরারী, জেএলনং ১৩১, মোয়াজী ১০ একর ৩৫ শতক ) জবর দখলে ব্যর্থ হয়ে আমরাসহ আমাদের লোকদের বিরুদ্ধে এখনও নানা মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা করে আমাদের সর্বশান্ত করে আসছে। আমরা গ্রামবাসী উক্ত মামলা বাজ, নারী লোভী আছাদ মিয়া, তার সহযোগী আলমগীর ও মামদ আলীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। এ সময় মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি আজিজুর রহমান মধু মিয়া, আমীর হোসেন, মতলিব মিয়া, আব্দুর নুর, কাচন মিয়া, তাজুদ মিয়া, অলিদুর রহমান, ছালিক মিয়া প্রমুখ।