এ সংগ্রামে হয় মারতে হবে না হয় মরতে হবেঃতথ্যমন্ত্রী

    0
    226

    আমারসিলেট24ডটকম,২৬মার্চঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একাত্তরের ২৫ শে মার্চ ভয়াল কালরাতের শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলন, আলোর মিছিল, স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করা হয়।গতকাল মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।
    শহীদ মিনারের কর্মসূচিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, মোশতাক-জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অপদখলের চেষ্টা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে নোঙরা ডাস্টবিনে চেপে দেয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সেই ডাস্টবিনকে দেশ থেকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মোশতাক-জিয়ার চক্রের দল বিএনপি ও খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা, গুম ইত্যাদি অপকর্মে লিপ্ত হয়ে বাংলাদেশকে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টা করছে।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা এমন এক সংগ্রামে অবর্তীণ হয়েছি।‘ যে সংগ্রামে হয় মারতে হবে না হয় মরতে হবে। খালেদা জিয়াকেও বাংলাদেশ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধে সফল হয়েছি, এবারও সফল হব।বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ একদিন বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে আসবে। এ সরকারের আমলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া যেভাবেই হোক শেষ করা হবে। বাংলাদেশ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, জামায়াতসহ যত সাম্প্রদায়িক দল আছে তা নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ৭২ এর সংবিধান পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে যাতে তরুণ প্রজন্ম আগামিতে একটি সেক্যুলার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
    অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের রচয়িতা ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম, মেজর জেনারেল কেএম শফিউল্লাহ।
    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবিব, ব্যরিস্টার তুরিন আফরোজ, কবি মোহাম্মদ সামাদ, গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার প্রমুখ।
    এ দিকে রাতে ঢাবির জগন্নাথ হলে গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্জলন, আলোচনা সভা ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়। জগন্নাথ হল কর্তৃপক্ষ শহীদদের স্মরণে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।এ ছাড়াও ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোর মিছিল করা হয়। ঢাবি থেকে শুরু হওয়া এ মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
    এতে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, ঢাবি সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।