এসএসসি-সমমানের ফল প্রকাশ,পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭

    0
    220

    ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ হার সামান্য বেশি। গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।

    আজ রোববার সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পরে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফল ঘোষণা করেন।

    ফল ঘোষণা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে আমরা ধাপে ধাপে এগুতে চাচ্ছি। অফিস সীমিত আকারে ‍খুলে দেওয়া হয়েছে, গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা ধাপে ধাপে এগুতে চাচ্ছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই উন্মুক্ত করব না। এখন যে অবস্থা রয়েছে, এই অবস্থার উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করবো।’

    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাই মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে। আমার বিশ্বাস, এই করোনাভাইরাসের আঘাত থেকে শিগগিরই বিশ্ব মুক্তি পাবে, বাংলাদেশও মুক্তি পাবে। যেকোনো সংকটে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের আত্মবিশ্বাসটাই বড়। মনে রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী জাতি। করোনাভাইরাসসহ যেকোনো দুর্যোগে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। যেকোনো ঝড়-ঝাপ্টা আসুক, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমরা মোকাবিলা করব। এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাব।’

    এরপর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তন থেকে ফেসবুক লাইভে মাধ্যমিকের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে অভিনন্দন জানান। যারা উত্তীর্ণ হননি, তাদেরকেও ভেঙে না পড়ার আহ্বান জানান। এসএমএস, প্রি-রেজিস্ট্রেশন এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা বলেও জানান তিনি।

    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসির সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৩৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০.৩৭ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫.২২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭.৩১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪.৭৫ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯.৭০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮.৭৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২.৭৩ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০.১৩ শতাংশ। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৮২.৫১ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৭২.৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী।

    এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি, শেষ হয় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

    মোট ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে আট লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ ছাত্রী। ছাত্রের তুলনায় ৫১ হাজার ৪০৪ ছাত্রী বেশি।

    মাদরাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় দুই লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন। ছাত্রী অংশ নেয় এক লাখ ৪৭ হাজার ১১৬ জন। ছাত্রের তুলনায় ১২ হাজার ৯৭৮ জন বেশি। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।