এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করল টাইগাররা

    0
    217

    আমারসিলেট24ডটকম,০৪মার্চঃ এবার এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করল বাংলাদেশ। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগহ ৩২৬ রান। ব্যাটসম্যানদের স্বপ্নের দিনে রানোৎসবে মাতালো বাংলাদেশ টাইগাররা। শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানের অসাধারণ বীরোচিত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে ৩২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই কোন দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড হল। চমৎকার একটি অর্ধশতক পূর্ণ করে পাক তারকা অফ স্পিনার সাঈদ আজমলের শিকারে পরিনত হলেন মুমিনুল হক। ইনিংসের ৪৪.২ ওভারে ৪৭ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা মুমিনুল বিগ শট হাঁকাতে গিয়ে মোহাম্মদ হাফিজের তালুবন্দী হন। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ তখন ছিল ৩ উইকেটে ২৪৯ রান। শেষ খবর ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৭৬ রান।
    ইনিংসের শুরু থেকেই চলা ব্যাটসম্যানদের রানোৎসবে যোগ দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রতিভা মুমিনুল হকও।

    ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি দুরন্ত গতিতে। এর আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক পূর্ণ করার পরই সাজঘরে ফিরে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আনামুল হক বিজয়। সাঈদ আজমলের করা ৪০তম ওভারের প্রথম বলেই তিনি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আহমেদ শেহজাদের তালুবন্দী হন ব্যক্তিগত ১০০ রানেই। এ সময় টাইগারদের দলীয় সংগ্রহ ছিল ৩৯.১ ওভারে ২ উইকেটে ২০৪ রান।  এর আগে আনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েসের দেড়শ রানের ওপেনিং জুটির পর এবার বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান মুমিনুল হক ও আনামুল হকের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। জুটিতে ৫৪ রান যোগের পর বিচ্ছিন্ন হলেন আনামুল। ১৩২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রানের অসামান্য ইনিংস উপহার দেন আনামুল দলকে।
    এর আগে দেড়শ রানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দেয়ার পর সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। ২৮.৪ ওভারে দলীয় ১৫০ রানে পেসার মোহাম্মদ তালহার বলে উইকেটরক্ষক উমর আকমলের গ্লাভসবন্দী হয়ে বিদায় নেন তিনি ব্যক্তিগত ৫৯ রান করে। এর আগে আনামুল হক বিজয়ের পর অর্ধশতক হাঁকান  ইমরুল কায়েসও। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে অভাবনীয় সূচনা পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ১৮ ওভারেই দলীয় শতক পূর্ণ করে টাইগাররা কোন উইকেট না হারিয়েই।
    ইনিংসের একাদশতম ওভারে ঘটে যায় কিছু নাটকীয় ঘটনা। বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রেহমান আক্রমণে এসেই পর পর তিনটি হাই ফুলটস বল করেন। এ সময় ইমরুল কায়েস এক বার ক্যাচ তুলে দিয়েও রক্ষা পান। তিনটি বলই নো হওয়ায় আম্পায়ারদ্বয় পাক অধিনায়ক মিসবাহ উল হকের সঙ্গে আলোচনা করে রেহমানকে বোলিং থেকে বিরত রাখেন। পরবর্তীতে ওভারটি শেষ করেন দলে ফেরা ফাওয়াদ আলম। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে পাঁচটি পরিবর্তন এসেছে। একাদশে ফিরেছেন সাকিব। তাছাড়া দলে সুযোগ হয়েছে মাহমুদুল্লাহ, শফিউল ও আল আমিনের। পাকিস্তান দলে জায়গা ফিরে পেয়েছেন ফাওয়াদ আলম ও আবদুর রহমান। এজন্য শারজিল খান ও জুনাইদ খানকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে।

    বাংলাদেশ দল ইমরুল কায়েস, আনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, নাসির হোসেন, জিয়াউর রহমান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আবদুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম ও আল আমিন হোসেন।

    পাকিস্তান দল আহমেদ শেহজাদ, মোহাম্মদ হাফিজ, মিসবাহ উল হক, উমর আকমল, শোয়েব মাকসুদ, শহিদ আফ্রিদি, উমর গুল, সাঈদ আজমল, উমর গুল, মোহাম্মদ তালহা ও ফাওয়াদ আলম।