এমসি কলেজের ধর্ষক অর্জুন রনি ও রবিউল হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার

    0
    250

    নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জঃ  সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৪ নম্বর আসামী অর্জুন লস্কর মাধবপুর (২৪) থেকে ও ৫নং আসামী রবিউল ইসলাম (২৫) কে নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ থেকে এবং হবিগঞ্জের শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫) কে আটক করা হয়েছে। অর্জুন ও রবিউলকে পুলিশ ও রনিকে র‌্যাব আটক করেছে। আবুল হোসেন সবুজ, মাধবপুর থেকে জানান, গতকাল রোববার ভোরে মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দূলর্ভপুর থেকে অর্জুনকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

    গ্রেপ্তারকৃত অর্জুন জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করে জানান, অর্জুনকে সিলেটের গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে। অপর দিকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরী মামলার ৫নং আসামি রবিউল হাসানকে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের নিজগ্রাম থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করেছে। গতকাল রোববার রাতেই তাকে হবিগঞ্জ ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। রবিউলের বাড়ি দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামে।
    বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, রাতে গোপন সংবাদে খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে ইনাতগঞ্জের নিজগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
    অপরদিকে গণধর্ষণ মামলার আসামী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাগুনীপাড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫)কে গতকাল গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব দাবী করছে রনিকে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু রনির চাচা শাহ নজির মিয়া দাবী করছেন হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর এলাকায় অবস্থিত তার (নজির মিয়ার) বাসা থেকে র‌্যাব রনিকে নিয়ে গেছে।
    উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ২০ বছর বয়সী তরুণী গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ওসিসিতে ভর্তি করে।
    এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধুর স্বামী বাদি হয়ে সিলেট শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।