এমপি মাশরাফির পরিদর্শনের পর ৪ চিকিৎসক বরখাস্ত

    0
    245

    নড়াইল প্রতিনিধিঃ দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে নড়াইল সদর হাসপাতালের চার চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। তারা হলেন, সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেন, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ শওকত আলী ও রবিউল আলম এবং মেডিকেল অফিসার এ.এস.এম সায়েম। তাদের প্রথমে ওএসডি এবং পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার(২৯এপ্রিল) বিকেলে পৌনে ৪টার সময় নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ তথ্য জানান।
    সদর হাসপাতালের নবনিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ আব্দুস শাকুর এ প্রতিনিধিকে জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে চার চিকিৎসকের ও এসডি সংক্রান্ত আদেশ রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। পরে সোমবার অভিযুক্ত ওই চার চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন সোমবার বিকেল পৌনে চার টার দিকে সদর হাসপাতালে পৌছেছে। তত্ত্ববধায়ক আরও বলেন, চিকিৎসকদের কাউকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সোমবার সকল চিকিৎসক তাদের সদর হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা গত ২৫ এপ্রিল সদর হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনের সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুস শাকুর এবং সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আকরাম হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন এমপি মাশরাফি। এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগিদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যার শোনেন এবং হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখতে পান। পরে রাতে হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি। এ সময় বেশ কিছু বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।

    সেগুলো হলো: হাসপাতালে অনুপস্থিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল সেবা নিশ্চিত করা, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত চিকিৎসকদের হাসপাতালে অবস্থান করা, হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স অবস্থান না করা, দালাল চক্র হাসপাতালে প্রবেশ করতে না পারা, সরকারের সাপ্লাইকৃত ওষুধের যথাযথ ব্যবহার এবং বড় ওয়ার্ডে দুজন করে নার্স দেওয়া।
    উল্লেখ্য, নড়াইল সদর হাসপাতালে ৩৯জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও আছেন ১৭ জন। এর মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসক সংযুক্তিতে। ভূক্তভোগী রোগি ও স্বজনদের অভিযোগ, অধিকাংশ চিকিৎসকই সপ্তাহে এক থেকে তিনদিনের বেশি নড়াইল সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন না।