উৎসব আমেজে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ শুরু

    0
    227

    আমারসিলেট24ডটকম,২৭ফেব্রুয়ারীঃ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা আর উৎসব আমেজে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আজ দেশের ৫২ জেলার ১১৫টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনী এলাকায় আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
    নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ বাসস’কে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। সকল প্রার্থী যাতে সমান সুযোগ পান এবং ভোটাররা যাতে তাদের পছন্দমত প্রাথীকে ভোট দিতে পারেন- এ ব্যাপারে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
    তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে নিয়ম ভঙ্গকারীকে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
    ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন জানান, গতকালই কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পার্বত্য দুর্গম এলাকায় নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানো ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যাতায়াতের জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। ভোটারদের ভোটদান নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
    দ্বিতীয় ধাপে আজ ১১৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের জন্য কমিশন তফসিল ঘোষণা করলেও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় নির্বাচন হবে ১ মার্চ এবং সীমানা জটিলতা থাকায় আদালতের নির্দেশে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ফলে আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে ১১৫টি উপজেলায়।
    দ্বিতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ হাজার ৩৪০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫শ’ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫০৬ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৩৩৪ জন প্রার্থী রয়েছেন। এসব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৯৫ লাখ ৯২ হাজার ৮৪৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৮৬৮ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৮ হাজার ৩২টি। ভোটকক্ষ প্রায় ৫১ হাজার।
    গত ১৯ ফেব্র“য়ারি প্রথম দফায় ৪০ জেলার ৯৭টি উপজেলায় নির্বাচন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ভোটগ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) মোট ৮ হাজার ৩২ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে। সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার প্রায় ৫১ হাজার। পোলিং অফিসার থাকছে ১ লাখেরও বেশি।
    এছাড়া ভোটগ্রহণের সময় নির্বাচনকেন্দ্রিক অপরাধরোধ ও শাস্তি দেয়ার জন্য প্রতি উপজেলায় ৪ জন করে মোট ৪৬০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতি উপজেলায় ১ জন করে মোট ১১৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাৎক্ষণিক বিচারে দায়িত্ব পালন করছেন।
    ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছে। তারা নিয়মিত বাহিনীর সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছে। স্ট্রাইকিং ফোর্সের প্রতি টিমে একজন কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (নারী-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে মোট ১৪ জন সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ, পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় কেন্দ্রপ্রতি ১৫ জন ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এতে পুলিশের সংখ্যা বেড়ে দুই জন হয়েছে।
    আজ যে ১১৫ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে, এগুলো হলো- পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, চিরিরবন্দর, বিরামপুর, বীরগঞ্জ, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা ও সদর, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, রাজারহাট, রাজীবপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই, সদর, বগুড়ার কাহালু, শিবগঞ্জ, আদমদীঘি, শাজাহানপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর, নওগাঁর আত্রাই, বদলগাছি, নিয়ামতপুর, পতœীতলা, সাপাহার ও সদর। রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের সদর, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, লালপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, মেহেরপুরের গাংনী, মুজিবনগর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, খোকসা, মিরপুর, ঝিনাইদহের মহেশপুর, যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া, শার্শা, মাগুরার মহম্মদপুর, শালিখা, বাগেরহাটের কচুয়া, ফকিরহাট, খুলনার ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, ভোলার চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিন, বরিশালের সদর, পিরোজপুরের কাউখালী, নাজিরপুর, টাঙ্গাইলের সখীপুর, জামালপুরের ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, মেলান্দহ, শেরপুরের ঝিনাইগাতি, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, ভালুকা, সদর, নেত্রকোনার কলমাকান্দা, খালিয়াজুরী, পূর্বধলা, বারহাট্টা, মানিকগঞ্জের সদর, হরিরামপুর, মুন্সীগঞ্জের সদর, শ্রীনগর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, সাভার, নরসিংদীর শিবপুর, ফরিদপুরের নগরকান্দা, বোয়ালমারী, সালথা, গোপালগঞ্জের সদর, কোটালীপাড়া, মাদারীপুরের রাজৈর, শিবচর। সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই, সিলেটের বালাগঞ্জ। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, কুমিল্লার দেবীদ্বার, মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, চাঁদপুরের সদর, ফরিদগঞ্জ, মতলব (দক্ষিণ), মতলব (উত্তর), ফেনীর পরশুরাম, সদর, নোয়াখালীর কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, চাটখিল, সদর, সোনাইমুড়ী, চট্টগ্রামের পটিয়া, লোহাগাড়া, কক্সবাজারের পেকুয়া, চকরিয়া, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, রাঙামাটির কাপ্তাই, ননিয়ারচর, বান্দরবানের থানছি, রুমা রোয়াংছড়ি ও লামা।বাসস,