উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদের “স্মৃতিতে একাত্তর”

    0
    272

    আমারসিলেট24ডটকম,৩১ডিসেম্বর,উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ :১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধের আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য, মুক্তি সংগ্রামকে বাস্তবায়িত করার জন্য যে আহবান রেখেছিলেন রেসকোর্স ময়দানে। সে ময়দানের মিটিংয়ে আমরা ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে সেদিন আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে সে মহাসমাবেশে যোগ দেই। সেই জনতার ঢল সারা দেশবাসীকে পাকিস্তানীদের বিরদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য তার এ বক্তব্য জাতিকে উৎসাহিত করেছিলো,উদ্বুদ্ধ করেছিলো।মুক্তিযুদ্ধ কিন্তু হঠাৎ কোন ঘটনা নয়।দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এ মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হযেছে এবং সে আন্দোলন সংগ্রামকে সংগঠিত করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন,চুয়ান্নোর যুক্তফ্রন্ট সরকার,পরবর্তী পর্যায়ে বাষট্টির শিক্ষা কমিশন গঠন সংক্রান্ত যে আন্দোলন,ছেষট্টির ছয দফা বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ ম্যাগনাকার্টার হিসাবে সে আন্দোলনের সূচনা,উনসত্তরের ছাত্র-গণআন্দোলন,সত্তরের নির্বাচন এরই ধারাবাহিকতায সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ বিজয় হলেও সেদিন জেনারেল ইয়াহিয়া সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করার কারণে জাতির জনক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামের চুড়ান্ত সূচনা করেছিলেন।

    আমরা ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে প্রত্যক্ষ ও সক্রিয়ভাবে প্রত্যেকটি আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলাম।১৯৬২ সাল থেকে আমরা ছাত্র আন্দোলনে জড়িযে পড়ি। ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সারা বাংলাদেশে সংগঠিত করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে।যার ধারাবাহিকতায় ৬৯এর গণ-আন্দোলন,ছাত্র আন্দোলন এবং ৭০এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক জয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই সংগঠিত হয়েছিলো।

    কিন্তু পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টি হওয়া স্বত্তেও সেদিন আওয়ামীলীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় জাতি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে চুড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে আজকের এই ডিসেম্বর মাস আমরা অর্জন করি । আমরা বাঙালী জাতির দুইটি দিবস জাতীয় ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটা অন্য কোন জাতির জন্য নেই। প্রত্যেক দেশে স্বাধীনতা দিবস আছে আর কোন দিবস নেই।বাংলাদেশে কিন্তু দুইটি দিবস ।একটা হলো ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস অন্যটি ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস ।

    অতএব ঐতিহাসিক কারণে এই দুইটি দিবসের গুরুত্ব সারা বিশ্ববাসীর কাছে সঠিকভাবে স্থান করে নিয়েছে এবং¦ তাৎপর্যপূর্ণ ।আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্নবিদ্যালয় থেকে পাকিস্তানী পতাকা পুড়িয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করি। এবং সেখান থেকে আমরা সেই পাকবাহিনীর দোসরদের আক্রমণ এবং তাদের যে গণহত্যা তখন যে একটা রক্তক্ষয়ী অবস্থার সৃষ্টি হযেছিলো । সেখান থেকে কোনরকমে আমরা প্রাণে বেঁচে আমি আমার দুইভাইসহ সিলেটে আমার দেশের বাড়ী আসার সুযোগ হয়েছিলো ।

    সে সময় অসহযোগ আন্দোলন চলে ।এবং সম্ভবত ২৮শে মার্চ১৯৭১সাল, চট্টগ্রাম থেকে আমি আমার দেশের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই।আমার সুযোগ হয়েছিলো সেদিন কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের মাধ্যমে জাতির জনকের সেই স্বাধীনতার আহবান চট্টগামের আওয়ামীলীগ নেতা এম.এ,হান্নানের মাধ্যমে প্রথম প্রচার হয়।

    পরবর্তী পর্যায়ে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার জন্য ষোলশহরে একটি ইউনিট বা ক্যান্টনমেন্টের শাখা তৈরি হয়েছিলো। সেখানে আওয়ামীলীগের এম,এ,হান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ অনেক নেতৃবৃন্দ ছিলেন । আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা হিসেবে আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক,আমি সেই সব বিষয় প্রত্যক্ষ করার সুযোগ হয়েছিলো ।

    তখন জিয়াউর রহমান টু আই সি হিসাবে বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি ইউনিটে ছিলেন,ষোলশহরে থাকতেন । পাকিস্তানী জাহাজ সোয়াত থেকে অস্ত্র খালাসে তার উপর দায়িত্ব পড়েছিলো ।তাকে সে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনার জন্য আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দরা ষোলশহর গিয়ে সেখান থেকে বুঝিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করার জন্য তাকে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন ।

    আমি সেদিন চট্টগ্রামে থাকায় আমার জানার সেই সুযোগ ছিলো ।আমি জেনেছি।তো আজকে প্রায় ৪৩ বছর পরে একাত্তরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমার দেশের বাড়ী এসে কমলগঞ্জে সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে আমরা মুক্তিযুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করি এবং আমরা এলাকায় বিভিন্ন ধরণের প্রতিরোধ গড়ি । সেই প্রতিরোধের মাধ্যমে পাক বাহিনীর অগ্রযাত্রাকে আমরা বাধাগ্রস্ত করি।

    আমরা আমাদের ই.পি.আর বাহিনীর সদস্য,কিছু মোজাহিদ,কিছু আনসার বাহিনীর সদস্য যারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিলো,তাদেরকে আমরা সংগঠিত করি আমরা বিভিন্ন জায়গায় হিট এন্ড রিচিং এর জন্য । আমরা কিন্তু আনুষ্টানিক ভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে পারি নাই।ঠিক সেই সময়ে পাক বাহিনী এলাকা দখল করে নেয়।

    কমলগঞ্জের প্রত্যেকটি অঞ্চলে তারা ক্যাস্প করে নেয়।এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি আমার বাড়ীতে আক্রমণ করার পর আমার বাবাসহ আমার ৫ ভাইকে পাক-সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে যায় শমশেরনগর নির্যাতন ক্যাম্পে। সেখানে প্রায় ২৭ দিন নির্যাতনে রেখে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান । তাদেরকে মুক্তি দেয়।আমি ভারতে চলে যাই ।ভারতে যাওয়ার পরে আমরা প্রথম মজিব বাহিনীতে অংশ গ্রহন করি ।

    পরবর্তী পর্যায়ে জাতীয়ভাবে আমার উপর একটা সুযোগ আসে,দায়িত্ব আসে সেনাবাহিনীর একজন কমিশন্ড অফিসার হিসাবে আমি নিয়োগের জন্য যখন সাক্ষাতকার দিতে যাই জেনারেল রব সি.আর.দত্ত, উনাদের মাধ্যমে আমি ট্রেনিং দিয়ে সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হই ।কিন্তু বিধি বাম, তখন আনুষ্টানিক যুদ্ধ শুরু হয়নি,সব প্রস্তুতি চলছে ।

    আমরা তখন প্রায় কোটি মানুষ,ভারতের বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছি ।অমি এক আত্মীয়ের বাড়ীতে গিযে প্রথম উঠেছি ।নানাবিধ ঘটনা আছে,স্বল্প পরিসরে বলা সম্ভব নয় ।

    সে কারণে আমি যখন কমিশন প্রাপ্ত হই তখন আমি ভারতের করিমগঞ্জ ছিলাম,সেখান থেকে আমি আমার সাক্ষাতকার দেওয়ার পরে আমি চলে আসি ।মহামারি আকারে তখন ডিসেন্ট্রি হয়েছিলো ।

    এই ডিসেন্ট্রিতে আমি আক্রান্ত হওয়ায় সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসাবে আর যোগ দিতে পারি নাই ।পরবর্তী পর্যায়ে আমি ভারতের সেই লোহারবনে একটা সাময়িক প্রশিক্ষণে অংশ নিযে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক হিসেবে যোগদান করি।আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সেক্টরে যুদ্ধ করি।

    ধর্মনগর থেকে আরম্ভ করে কৈলাশহর পর্যন্ত বাংলাদেশের যে বর্ডার আছে সব বর্ডারে আমরা বিভিন্ন অপারেশনে যোগ দেই ।এবং আমার সাথে কমান্ড রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন সাতুয়াল সিং এবং অন্য একটি রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন হামিদ দীঘল ভান্ডারী এই সমস্ত অফিসার আমাদেরকে বিভিন্ন ধরণের সহায়তা করতেন।আমাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে অস্ত্রসহ প্রেরণ করতেন।

    এভাবে কোন না কোনভাবে আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অংশে যোগদান করি । আমার স্মরণীয় ঘটনা হলো সম্ভবত চোঙাবাড়ী বলে একটা এলাকা আছে ধর্মনগরে।এই চোঙাবাড়ীর দিকে অমরা যখন একটি চা বাগানে প্রবেশ করবো ।সে সময় আমার ডায়রিয়া হয়ে গেলো ।রাতের বেলা,প্রচন্ড শীত ।নভেম্বর মাসের শেষ দিক ।ডায়রিয়া নিয়েই আমরা অপারেশনে যাই এবং খবর পাই সেখানে অপারেশন করার আগেই পাক সেনারা অগ্রসরের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে পিছু হঠল।

    তখন কিন্তু আমরা সে অপারেশন শুরু করতে পারি নাই।পরের দিন ফেঞ্চুগঞ্জে একটা অপারেশন হয় । সে অপারেশনে বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধারা আহত হয়েছে ।সেখানে প্রচার হয়েছে যে, এ অপারেশনে অংশ নিযে আমার মৃত্যুবরণ হয়েছে । পরবর্তী পর্যায়ে আমাকে বলতে হয়েছে যে, অমি এ অপারেশনে ছিলাম না ।

    সম্ভবত; ছোটখাটো একটি অপারেশন হয়েছে, যা শুনেছি ।এছাড়া ভারতের কৈলাশহরের লাঠিউরা,বাংলাদেশের নমৌজা, সেখানে দুই একটি অপারেশন আমরা করেছিলাম দিনের বেলা পাক সেনারা গুলি করা শুরু করে যখন ।

    তখন পাল্টা গুলি করে আমরাও আত্মরক্ষা করি।এবং আমরা আসলে ভারতীয় বাহিনীর সাথে চুড়ান্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি ১বা ২ ডিসেম্বর সম্ভবত: ।সেই মনু ক্রস করে পাবই হয়ে আমরা মন্সীবাজার অপারশনে যোগদান করি।তবে ফ্রন্টে ছিলো ক্যাপ্টেন শর্ম্মা যে পাক বাহিনীর গুলিতে তাৎক্ষণিকভাবে মুন্সিবাজারের হরিশ্চরন গ্রামে তার মৃত্যু হয় ।সেখানে আমার মামাতো ভাই আব্দুল মোতালিব তরপদারসহ আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন ।

    অল্পের জন্য এরা বেঁচে গিয়েছেন ।যুদ্ধ হয়েছে এবং বেশির ভাগপাক সেনাদের মৃত্যু হযেছে ।সেখানে অমরা গ্রেনেড ইত্যাদি চার্জ করি ।প্রকৃতই সেখানে পাকিস্তানীদের পরাজয় হয়েছে।যাই হোক এভাবেই আমাদের চুড়ান্ত বিজয় হয় এবং একাত্তর সাল আমাদের জন্য একটা নয়নের যুদ্ধ ।

    সামগ্রিক একটা ব্যবস্থা ছিলো যুদ্ধের ।সারা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সহিত মিত্রবাহিনীর সহযোগীতায় আমাদের যে যুদ্ধ হয়েছিলো ।বলতে হলে সেটা একটা দু:সাহসিক যুদ্ধ ছিলো ।আনুষ্টানিক যুদ্ধের চেয়ে সেটা কঠিন ছিলো।

    এতো অল্প সময়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার কারণ হলো সেদিন বঙ্গবন্ধুর সেই বাণী,তার যে উৎসাহ,তার নেতৃত্ব মানুষের কাছে পুঁজি হিসাবে কাজে লেগেছিলো ।এবং বঙ্গবন্ধুর সঠিক নেতৃত ছিলো¡ বাঙালী জাতির জন্য।

    সেটাকে আজকে যারা বিতর্কিত করতে চায়,তারা জাতির কুলাঙ্গার ।তাঁর নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছে ।পৃথিবীর সব দেশেই এ বিষয়টি বাস্তব একটি সত্য। ৭ই মার্চের ভাষণ যেটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ।

    যে ভাষণের গবেষনা হচ্ছে । অনেকে পি.এইচ.ডি করছেন ।বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিষয় হিসেবে এটি পরিগণিত হয়েছে ।খালেদা জিয়ার পূত্রসহ অনেক কুলাঙ্গাররা ইতিহাস বিকৃত কওে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপচেষ্টা করছে ।

    এটিও একটি ষড়যন্ত্র।মুক্তিযুদ্ধেতো অনেকেই অংশগ্রহণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করার জন্য সহযোগীতা করেছেন ।সবাই কিন্তু স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ বলেই আমরা অনেকেই অনেক সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মনে করি ।মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পাওয়ার ব্যাপারে ভূয়া তথ্য দিয়ে যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন আবেদন করেছেন ,তাদের ব্যাপাওে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় একটি যাচাই বাছাই কমিটি হয়েছে, সে কমিটির মাধ্যমে  সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে এবং যারা মুক্তিযোদ্ধা নয় বা যারা মুক্তিযুদ্ধে সহযোগীতাও করে নাই, অবশ্যই যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে তাদেরকে ও বাদ দেওয়া হবে ।মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী এসব বিষয়ে কথা বলেছেন ।

    কমলগঞ্জসহ সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক,বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতি প্রদান ও সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

    লেখকঃসদস্য,জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল(জামুকা),সাবেক চীফ হুইপ ও বর্তমান এমপি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।