উপজেলার পিআইও’র খাটের নিচে ঘুষের টাকার খনি

    0
    290

    উপজেলার পিআইও’র খাটের নিচে ঘুষের টাকার খনি মিলেছে। সরকারি কোয়ার্টারে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকাসহ খনীর মালিক দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক।

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিনাজপুর দুদকের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি দল এ অভিযান চালায়।

    জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুদক উপজেলা পিআইও অফিসে এসে হাজির হয়। এ সময় কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। কার্যালয় থেকে কিছু টাকা উদ্ধার করে তার কোয়ার্টারে তল্লাশি শুরু করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জিন্নাতুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক ওবায়দুর রহমান। সেখানে একে একে ৪টি ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে টাকার সন্ধান পান দুদক সদস্যরা। পরে রাত পৌনে ৭টার দিকে পার্বতীপুর অগ্রণী ব্যাংক লিঃ থেকে মেশিন এনে টাকা গণনা করা হয়। সেখানে ১ কোটি ৮৫ লাথ ২৫ টাকা পাওয়া যায়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) দবির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনাজ মিথুন মুন্নী, সহকারী কমিশনার ভূমি আবু তাহের মো. শামসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

    দিনাজপুর দুদকের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান বলেন, গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযানটি পরিচালিত হয়। কিন্তু একজন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বাসায় এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেখে তারাও অবাক হয়েছেন। তিনি বলেন ঘরের ভিতর খাটের নিচে ৪টি ব্যাগে থরে থরে সাজানো ছিল টাকাগুলো। তিনি এতোগুলো টাকা নিয়ে একাই বাসায় থাকতেন। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্ততি চলছে।

    পার্বতীপুরের একজন চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উপজেলার টিআর, কাবিখা, সোলার ক্রয়, গৃহনির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে লাখ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করতেন তাজুল। ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি পার্বতীপুর উপজেলায় যোগদান করেন তিনি। এর আগে তিনি ফুলবাড়ী উপজেলায় কর্মরত ছিল। তার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের নাজিরা খলিলগঞ্জ গ্রামে।

    পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনাজ মিথুন মুন্নী সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম দুদকের হাতে টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।