উন্নয়নে হরিজন সম্প্রদায়কে অর্ন্তভুক্তের উদ্যোগঃমহসিন

    0
    229

    আমারসিলেট24ডটকম,২১মার্চঃ সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেছেন, উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কর্মসূচিতে হরিজন সম্প্রদায়কে অর্ন্তভুক্ত করার উদ্যোগ নেবে।
    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শানুযায়ী সরকারের পরিচালিত সোশাল সেফটিনেট (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি-ভিজিএফ প্রভৃতি) কর্মসূচিসহ অন্যান্য উন্নয়ন কর্মসূচিতে হরিজন ও দলিত জনগোষ্ঠীকে অর্ন্তভুক্ত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেবে।
    তিনি আজ সকালে রাজধানীর বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন) মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক বর্ণ বৈষম্য বিলোপ দিবস-২০১৪’ উপলক্ষে বাংলাদেশ “হরিজন ঐক্য পরিষদ আয়োজিত “ উন্নয়ন নীতিমালা ও কার্যক্রমে হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীর বিশেষ অগ্রাধিকার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিচ্ছিলেন।
    সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, সমাজে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা ও সামজিক অধিকার নিশ্চিত করা সাংবিধানিকভাবেই রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব। এটি জাতির উন্নয়নেরও অন্যতম চাবিকাঠি।
    তিনি বলেন, যতবেশী আমরা পিছিয়ে পড়া হরিজন ও দলিত জনগোষ্ঠীকে উন্নয়ন কর্মকান্ডে সামিল করতে পারবো তত দ্রুত দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে। আর এর মাধ্যমেই এদেশ বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথে ধাবিত হবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা আরো এগিয়ে যেতে পারবো।
    বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ সভাপতি কৃষ্ণ লালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
    আরো বক্তৃতা করেন- ফেয়ার এর পরিচালক দেওয়ান আখতারুজ্জামান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রীনা রায়, সংগঠনের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস প্রমুখ।
    জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, শোষনমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকল ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠীর সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
    হরিজন সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেয়ার বিষয়েও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উদ্যোগ নেবে বলে মন্তব্য করেন।
    সরকার বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নে আইনের খসড়া তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খসড়াটি যাচাই বাছাই করে সকলের মতামতের ভিত্তিতেই জাতীয় সংসদে উত্থাপন করে আইনে পরিণত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।বাসস