ঈমান-আক্বিদা সুরক্ষা ও ইসলামের সঠিক দর্শন প্রচারে গাউসিয়া কমিটি

    0
    322

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬সেপ্টেম্বর,মুহাম্মদ ফয়সাল শরীফ: জামানার শ্রেষ্ঠ সংস্কারক, আওলাদে রাসূল (দঃ), গাউছে জমান, জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) প্রবর্তক, শাহসূফি হযরত সৈয়্যদ আল্লামা মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.)’র প্রতিষ্ঠিত গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ শত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে চিরদিন আল্লাহর দ্বীন ইসলাম ও ঈমানের সেবক হিসাবে কাজ করে যাবে। ১৪ সেপ্টেম্বর সোমবার চট্টগ্রাম জেলার ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকাহ্ শরীফে আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম মহানগর গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তাগণ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    বক্তাগণ আরো বলেন, বর্তমান সময়ে একদিকে নানা মতবাদ নিয়ে ছদ্মবেশী ও নামধারী মুসলমানদের ইসলামকে বিকৃত করার অপচেষ্টা, অন্যদিকে নাস্তিক্যবাদীদের প্রকাশ্যে ইসলাম ও মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়ষন্ত্রের বিরুদ্ধে ইসলামের মূলধারা মজহাবে আহলে সুন্নাতের পতাকাকে সামনে নিয়ে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় নিয়ে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    বক্তাগণ বলেন, এই গাউসিয়া কমিটির দায়িত্ব যে বা যারাই নিয়েছেন বা নিচ্ছেন তারা অতীব ভাগ্যবান। এই কারণে যে আল্লাহপাক আমাদের প্রাণপ্রিয় মুর্শিদে করিমের পক্ষ থেকে আমাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্ব নবীগণের অলিগণের দায়িত্ব। বক্তাগণ বলেন, এই গাউসিয়া কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে অবশ্যই দৈনন্দিন জীবনে ঈমান ও ইসলামের প্রতি সজাগ থাকতে হবে। আমাদের সকলের ব্যক্তি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আহলে সুন্নাতের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সাধ্যের সবকিছু দিয়ে কাজ করে যেতে হবে।

    এই প্রসঙ্গে বক্তাগণ, অবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগরের প্রতিটি এলাকায় এলাকায় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য শক্তিশালী সাংগঠনিক কর্মসূচি প্রণয়নের উপর জোর দেন। এই জন্য প্রয়োজন মুর্শিদে করিম পীরে বাঙ্গাল আল্লামা মুহাম্মদ ছাবের শাহ (মাঃজিঃআঃ) এর নির্দেশিত ‘দওরায়ে দাওয়াতুল খায়ের’ কর্মসূচিকে নিষ্টার সাথে বাস্তবায়ন করা।

    গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পি এইচ পি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। উদ্বোধন ছিলেন আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন। প্রধান বক্তা ছিলেন আনজুমানের সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। মুখ্য আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মুহাম্মদ।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন আনজুমানের জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম, জামেয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ ছগির ওসমানী, শায়খুল হাদিস শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ওবাইদুল হক নঈমী, আনজুমান রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক আল্লামা এম এ মান্নান, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, আলহাজ্ব নুর মুহাম্মদ, অধ্যাপক কাজী মুহাম্মদ সামশুর রহমান, আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুরুল আমিন, আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন মুহাম্মদ শাকের, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ এফ সি এ, আলহাজ্ব মাহবুব এলাহী সিকদার, আলহাজ্ব কমর উদ্দিন সবুর, মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ মাস্টার, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মুহাম্মদ মীর সেকান্দর মিয়া, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আর.ইউ.চৌধুরী শাহীন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ সিরাজ উদ্দীন কন্ট্রাক্টর, সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব মুহাম্মদ হোসেন, কাউন্সিলর আলহাজ্ব মুহাম্মদ ছালেহ আহমদ চৌধুরী, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আজিজুল হক চৌধুরী, আলহাজ্ব এস.এম. আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের, আলহাজ্ব তসকির আহমদ, আলহাজ্ব খায়ের মুহাম্মদ, মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ, মুহাম্মদ ছাবের আহমদ, আলহাজ্ব মুহাম্মদ সাদেক হোসেন পাপ্পু, মুহাম্মদ আজাহারুল হক আজাদ, মুহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মুন্না, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবু তালেব বেলাল, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদ খতিবী, মুহাম্মদ মুসলিম, মাওলানা মুহাম্মদ মনির উদ্দিন সোহেল, মুহাম্মদ আব্দুল আলম, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মুহাম্মদ মনসুর সিকদার, মুহাম্মদ ইমরান হোসেন জুয়েল প্রমুখ। পরিশেষে মিলাদ-কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে আয়োজন সমাপ্ত হয়।