ঈদ-পূজায় বোনাস ও শ্রম আইন কার্যকর করার প্রেক্ষিতে মালিক সমিতির সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি

    0
    230

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৭সেপ্টেম্বর:মৌলভীবাজারে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান  আসন্ন ঈদুল আজহা ও দূর্গা পূজায় প্রত্যেক হোটেল শ্রমিকদের মাসিক বেতনের সমপরিমান উৎসব বোনাস প্রদান, হোটেল সেক্টরে সরকার ঘোষিত নিম্তনম মজুরি ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং বিনাবেতনে শ্রমিক ছাঁটাই না করার প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ-২৩০৫ এর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

    ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের অবর্তমানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সাধারণ) মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন । এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ-২৩০৫ এর সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মীর মোঃ জসিমউদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ তারেশ বিশ্বাস সুমন এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস।

    স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা ও হিন্দুদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজায় হোটেল শ্রমিকরা কোন উৎসব বোনাস পান না, এমন কি অধিকাংশ হোটেল শ্রমিকদের ঈদ ও পুজায় কোন ছুটিও প্রদান করা হয় না। ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর সরকার হোটেল শ্রমিকদের জন্য নি¤œতম মজুরির গেজেট প্রকাশ করেন, ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী প্রত্যেক শ্রমিককে এক মাসের বেতনের সমপরিমান বছরে ২টি উৎসব বোনাস প্রদানের আইন করা করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল সরকার ঘোষিত গেজেট ও শ্রম আইন বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতি এবং বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের মধ্যে লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

    এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ২ জুলাই’২০১৫ শ্রীমঙ্গলস্থ উপ-শ্রম পরিচালক ও উপ-মহাপরিদর্শকের মধ্যস্থতায় মৌলভীবাজার জেলা হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি সাথে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং চট্টঃ-২৩০৫-এর লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে সকল হোটেল শ্রমিকদের মাসিক বেতনের সমপরিমান বোনাস প্রদান, সরকার ঘোষিত নি¤œতম মজুরির গেজেট ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন এবং শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করার প্রেক্ষিতে লিখিত সিদ্ধান্ত হয়।

    কিন্তু চুক্তি করলেও গত ঈদুল ফিতরের সময় ২/১ টি হোটেল ব্যতিত কোন মালিকই শ্রমিকদের চুক্তি অনুযায়ী বেতনের সমপরিমান বোনাস প্রদান করেননি। তাছাড়া বাংলাদেশ শ্রম আইন-এর সকল আইনগত অধিকার হতে হোটেল শ্রমিকদের বি ত করা হচ্ছে। অথচ হোটেল মালিকরা সরকারী আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে এই সকল কর্মকান্ড চালালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে নির্বিকার। শুধু আইনগতভাবে নয় ধর্মীয় মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের দিক থেকেও হোটেল শ্রমিকদের বোনাস ন্যায্য অধিকার।

    উল্লেখ্য একই দাবিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার শেরপুরে, ১১ সেপ্টেম্বর কুলাউড়ায়, ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা শহরে এবং ১৫ সে্েপ্টম্বর বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন রেজিঃ বি-২০৩৭ ঘোষিত দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শহরে মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচি পালিত হবে।