ঈদকে সামনে রেখে জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাকারবারীরা সক্রিয়

    0
    281

    যাচ্ছে খাদ্য দ্রব্য মটর, আসছে ইয়াবা, মদ ও মাদক সামগ্রী

    জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি: ঈদকে সমানে রেখে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত জুড়ে চোরাকারবারীরা সক্রিয়, নিষ্কৃয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী মটর, প্লাষ্টিক সমাগ্রী বিনিময়ে আসছে জিরা, নি¤œমানের চা-পাতা, ইয়াবা, মদ ও নাছির বিড়ি।

    সরেজমিনে জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকাঘুরে দেখা যায়, নলজুরী, আলুবাগান, মোকামপুঞ্জি, আদর্শগ্রাম, ঝিঙ্গাবাড়ী, মিনাটিলা, কেন্দ্রী হাওর, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, কালিঞ্জি, জালিয়াখলা, খালাখাল চা-বাগান, আফিফা নগর চা-বাগান, তুমইর, বালীদাঁড়া, সিঙ্গারীরপাড় এলাকা দিয়ে দিন দুপরে চোরাকারবারী চক্রের সদস্যরা সীমান্তের ওপার থেকে বানের পানির মত নিয়ে আসছে ইয়াবা, মদ, নাসির বিড়ি, ভারতীয় নি¤œ মানের চা-পাতা, জিরা, ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট ও ভারতীয় রোগাক্রান্ত গরু, মহিষ। বিনিময়ে বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে হাজার হাজার বস্তা মটর ও প্লাষ্টিক সামগ্রী। মাঝে মধ্যে বিজিবি লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলে রাতের অন্ধকারে যেন ভারত বাংলা একাকার হয়ে যায়। চেরাকারবারী দলের সদস্যরা হলেন আনোয়ার হোসেন, রাম কিশ্বাস, হারুন মিয়া, আলমগীর হোসেন, শ্রমিকনেতা সাইফুল ইসলাম, আমিন উদ্দিন, মানিক মিয়া, এমরান হোসেন, সোহেল আহমদ, ইউনুছ মিয়া, গুলজার মিয়া, আব্দুল করিম, আব্দুল্লাহ মিয়া, লালা মিয়া, পারভেজ মিয়া, নজরুল ইসলাম নজাই, নাজিম মিয়া, আব্দুল মন্নান, সোহেল আহমদ, বিলাল মিয়া, সেলিম আহমদ, রহিম উদ্দিন, লোদাই হাজি, আব্দুর রশিদ, রফিক আহমদ, হেলাল উদ্দিন সহ প্রায় ২শতাধিক চোরাকারবারী। ঈদকে সামনে রেখে জৈন্তাপুর সীমান্ত যেন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে একাধিক বার স্থানীয় সংবাদকর্মীরা বিষয়টি উত্থাপন করা হলে কোন কাজ হচ্ছে না। এদিকে সীমান্তের এসব কারবার নিয়ে ৩১ জুলাই সকাল অনুমান ১০টায় চোরাকারবারী দলের সদস্য রাম বিশ্বাস, আলমগ্রীর ও শ্রমিকনেতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ভারতের মুক্তাপুর বস্তির রাবিশ নামের এক খাসিয়াকে ধরে নিয়ে আসে। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জানার পর রাত ৯টায় ছেড়ে দেওয়া হয়। চোরাকারবারীদের অপতৎপরতার কারনে সীমান্ত এলাকার বাসিন্ধারা এখন নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারছে না। এসবের কারনে গত জুলাই মাসে ভারতীয় গরু পাচারের সময় সীমান্তের বাসিন্ধাদের গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জুলাই মাসে ১টি ভারতীয় গরু এবং ৩টি স্থানীয় ইউপি সদস্যার গরু সহ চোরাইগরু বহনকারী পিকআপ আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সম্প্রতি উপজেলা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার বস্তা মটর সাপ্লাই হলেও সীমান্ত আইন প্রয়োগকারী বাহিনী নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারন সম্পাদক সচেতন দেশবাসীর দৃষ্টি আর্কষন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে স্যার্টাস দেন নি¤œ তার স্যার্টাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল, %%সচেতন ও দেশ প্রেমিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি%% দেশটা নাকি ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে গেল এ দেশেকি দেশদরদী জনগনের অভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টন খাদ্য শস্য দেদারছে লালাখাল সীমান্ত দিয়ে ভারত চলে যাচ্ছে, আর বিনিময়ে সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদক ও ভারতীয় সীগারেট। যার কালো হাতের থাবায় ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ,, আমাদের খাদ্য চাহিদা কি আর নাই, আমাদের কি খাদ্য চাহিদা পুরন হয়ে গেসে। এ সবের সুযোগ প্রশাসনের কিছু দুর্নীতি বাজ কর্তা ব্যক্তিরা বসে বসে মাল লুটসে, এসব অপকর্মকি দেখার কেউ নেই। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আমরা এসব অপকর্মের জবাব দেবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আসুন সচেতন দেশবাসী সকলে মিলে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।।

    এবিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন- আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর পর তিনটি আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি কঠোর হওয়ার আহবান জানাই কিন্তু কেন তারা বিষয়টি দেখছে না তা নিয়ে আমি শংঙ্কিত। আগামী জেলা আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে বিষয়টি তুলো ধরব।

    এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক বলেন- আমি আজ ৬দিন হয়েছে এই থানায় যোগদান করেছি। যোগদানের দ্বিতীয় দিন ৫ বোতল অফিসার চয়েছ মদ সহ একজনকে আটক করি হাজতে প্রেরন করেছি। আমার অঙ্গীকার জৈন্তাপুরে হয় মদ থাববে, না হয় আমি থাকব।