ইসলামবিদ্বেষী লেখক সালমান রুশদির ওপর নিউইয়র্কে হামলা

0
719
ইসলামবিদ্বেষী লেখক সালমান রুশদির ওপর নিউইয়র্কে হামলা
ইসলামবিদ্বেষী লেখক সালমান রুশদির ওপর নিউইয়র্কে হামলার চিত্র।সংগৃহিত।

আমার সিলেট ডেস্কঃ ইসলামবিদ্বেষী লেখক সালমান রুশদির ওপর নিউ ইয়র্কে হামলা হয়েছে। আমেরিকার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে এক মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাঁর ওপর এ হামলা হয়।তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ-মার্কিন নাগরিক।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ১২ আগস্ট শাটাকোয়া ইনস্টিটিউটে বক্তৃতা করতে গিয়েছিলেন বুকারজয়ী এই লেখক। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক যখন ৭৫ বছর বয়সী সালমান রুশদিকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন, তখনই এক লোক দর্শক সারির বাঁ দিক থেকে মঞ্চে গিয়ে তাকে একের পর এক ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। এসময় দর্শকেরা মঞ্চে ছুটে আসেন এবং হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। রুশদি পাঁচ মিনিট বা তারও বেশি সময় মেঝেতে পড়ে ছিলেন। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ইসলাম বিদ্বেষী লেখক সালমান রুশদি,ছবি সংগৃহিত

পুলিশের সুত্রে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, ছুরিকাঘাতের ফলে রুশদির ঘাড়ে ক্ষত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তার আঘাত কতটা গুরুতর, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম, হযরত ইব্রাহিম আলাইহিসসালাতু ওয়াস সালাম ও পবিত্র কুরআনের অবমাননার উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ (শয়তানের পদাবলী) লেখার অপরাধে ইরানের এক নেতা ইমাম খোমেনী ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে সালমান রুশদিকে মুরতাদ ঘোষণা করে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিয়েছিলেন।
ইরানের একটি সংস্থা রুশদির মাথার জন্য অন্তত: ২৫ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে এবং পরে এই পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে (৩৩ লাখ ডলার)। ইরানের অন্যান্য সংস্থাও রুশদিকে হত্যার জন্য পৃথকভাবে পুরস্কার ঘোষণা করে।
ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর আর্থিক সহায়তাপুষ্ট ধর্মত্যাগী ও অত্যন্ত কুরুচির অধিকারী মুরতাদ সালমান রুশদির লেখা ‘স্যাটানিক ভার্সেস নামক জঘন্য বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই ভারত,পাকিস্তান,বাংলাদেশের মুসলমানরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদীদের ওপর পুলিশি হামলায় কয়েকজন মুসলমান শাহাদত ও বরণ করেন।
পরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে নিন্দা ও বিক্ষোভ। আমেরিকা ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশ এবং শহরের মুসলমানরা ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। কিন্তু বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে পাশ্চাত্য রুশদির প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে।