ইরাকে শর্তসাপেক্ষে সামরিক সাহায্য করতে চান ওবামা!

    0
    217

    আমারসিলেট24ডটকম, ১৪জুনঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, তিনি ইরাকের নুরি আল মালিকিরসরকারকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে চান, তবে এর আগে তাকেদেশটির নানা গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারীদের নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। আমেরিকাইরাক সরকারকে শর্তসাপেক্ষে সামরিক সাহায্য দিলেও দেশটিতে আগের মত সেনাপাঠাবে না বলে ওবামা জানান। এদিকে আলকায়দার নতুন সংস্করণ ‘আইএসআইএল’রসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রায় ১৫ লাখ ইরাকি স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন।
    এবিষয়ে ইরানের প্রেসটিভি জানিয়েছে, ওয়াহাবী -সালাফি সন্ত্রাসীদের সঙ্গেজিহাদের জন্য এ বিপুল সংখ্যক জনগণ সেনা রিক্রুট কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমান।তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বয়সের লোকদের দেখা গেছে।ইরাকের শীর্ষস্থানীয় সুন্নি ও শিয়া আলেমগণ দেশ রক্ষার জন্য ধর্মান্ধসন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করাকে ফরজ বলে ঘোষণা দেয়ার পর বাঁধভাঙ্গাজোয়ারের মত জিহাদে অংশ নিতে ছুটে আসতে থাকেন ইরাকের সর্বস্তরের জনগণ।
    অপরদিকেসিরিয়া ও ইরানের পর চীনও সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় ইরাক সরকারকে সাহায্যকরতে প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছে।কিন্তু রাশিয়া বলেছে, আমেরিকাই ইরাকেসন্ত্রাসীদের জোরদার হতে সহায়তা দিচ্ছে।
    একদল বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞ মনেকরছেন, ইরাকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ও সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিপুল ভোটেপুনরায় জয়ী হওয়া নুরি আল মালিকির রাজনৈতিক জোটকে ক্ষমতাচ্যুত করার একমহাষড়যন্ত্র করছে দেশী-বিদেশী কয়েকটি চক্র। আর এইসব চক্রের মদদদাতারা হলইসরাইলি, মার্কিন, তুর্কি, কাতারি ও সৌদি সরকার। তারা ইরাকে সিসির মত কোনোব্যক্তিকে ক্ষমতায় বসাতে চান। এ সরকারগুলো ইরাকের আগে সিরিয়ায়ও বিনা অপরাধেবেসামরিক সাধারণ মুসলমানদেরকে কাফির বলে হত্যা করতে অভ্যস্তওয়াহাবী-সালাফি মতবাদে বিশ্বাসী আইএসআইএল ও আলকায়দাসহ বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসীদলকে অস্ত্র, অর্থ, প্রশিক্ষণ ও গোয়েন্দা সহযোগিতাসহ সব ধরনের সহায়তা দিয়েএসেছে।
    প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন ‘আইএসআইএল’র সন্ত্রাসীরা ইরাকের নেইনাভাপ্রদেশ ও এর রাজধানী মসুল দখল করে নেয়। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আলমালিকিসহ অনেক কর্মকর্তা বলেন, ইরাকের একদল সেনা কর্মকর্তাকে ঘুষ দেয়ায় একষড়যন্ত্রমূলক সমঝোতার আওয়াত এ প্রদেশের ৫০ হাজারেরও বেশি সরকারি সেনা কোনোধরনের বাধা না দিয়েই সন্ত্রাসীদের কাছে শহরটির প্রধান সরকারি ভবন, অস্ত্রাগার, ব্যাংক ও কারগারগুলোর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়। অবশ্যগত কয়েক দিনে সরকারি সেনাদের বিমান হামলার মুখে অধিকৃত অঞ্চলের বেশিরভাগএলাকা থেকেই সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। সুত্রঃওয়েবসাইট।