আসমা কিবরিয়াকে সবাই স্মরণ করলেন অশ্রুসিক্ত নয়নে

    0
    229

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৯জানুয়ারী,মোযযাম্মিল হকঃ আসমা কিবরিয়া অনেকটা দু:খ নিয়ে চলে গেলেন কারণ তিনি তার স্বামীর হত্যার বিচার দেখে যেথে পারেননি। তিনি সুষ্ঠ বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন এবং একটি ব্যাক্রিম ধর্মী প্রতিবাদ করে গেছেন যত দিন জীবিত ছিলেন। স্বামী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার  হত্যার বিচার দেখে যেথে না পারার কষ্ট তাকে যেমন ব্যাতিত করেছে তেমনি আমরাও ব্যাতিত।
    শুক্রবার বিকাল ৪ টায় বাংলা একাডেমির  কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর এমিরেটাস আনিসুজ্জামান আরও বলেন আসমা কিবরিয়া চিত্র শিল্পী হিসেবে সফল ছিলেন। তিনি পরিণত বয়সে আমেরিকাতে উচ্চতর প্রশিক্ষন নিয়েছেন। তিনি অনেক গুলো মাধ্যমে ছবি আঁকেন তার ছবিগুলোতে সুন্দর্যেরও অনুভুতি প্রকাশ পেত।
    গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন আসমা কিবরিয়া তার স্বামী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার হত্যা মামালর অগ্রগতি সর্ম্পকে জানতে আমাকে দুইবার উচ্চতর আদালতে পাঠিয়েছেন সুষ্ঠ তদন্ত হচ্ছে কি না বা বিচার প্রক্রিয়া কেমন হচ্ছে তা জানার জন্য। সে সময় আমরা বার বার বলেছি হামলাকারীর সাথে সাথে যারা গ্রেনেড সংগ্রহ করেছে, অর্থ দিয়ে সহযেগাীতা করেছে এবং নেপথ্যে কলকাঠি নেরেছে তাদেরও খুজে বের করতে হবে।  কিন্তু  পরিতাপের বিষয় আদৌ তা হয়নি।
    পিএসসির চেয়ারম্যান একরাম আহমেদ স্বাগত বক্তব্যতে বলেন শান্তির স্বপক্ষে নীলিমা কর্মসূচির মাধ্যমে শান্তিপূণ ভাবেও আন্দোলন করা যায় আসমা কিবরিয়া তা আমাদের  শিখিয়ে গেছে।
    ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতি মন্ত্রী তারানা হালিম বলেন আমি আমার খালার মৃত্যুর পর বুঝতে পেরেছি আমি দ্বিতীয়বার মা হারা হয়েছি।  অসুস্থ্য থাকা অবস্থায়ও তিনি আমাদের খোঁজ খবর সব সময় নিতেন। তবে খালূ হত্যার বিচার দেখতে না পারার কষ্ট তার মাঝে সব সময় ছিল।
    আসমা কিবরিয়ার পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া মা সর্ম্পকে বলতে গিয়ে জানান আমেরিকাতে একবার চিত্র প্রর্দশনীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামী শিল্পীদের আঁকা পনেরশ ছবির প্রর্দশনী হয় কিন্তু সেখান থেকে মাত্র তিনটি ছবি বিক্রি হয়েছিল তার মধ্যে একটা ছিল আমার মা আসমা কিবরিয়ার।
    স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক সামসুজ্জামান খান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী , ডেইলিস্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সাবেক রাষ্ট্রদুত ওয়ালী উর রহমান, শাহিনা আনাম,  শরিফা মোসাব্বির, আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার,  আসমা কিবিরয়ার কন্যা ড. নাজলি কিবরিয়া, পুত্রবধু সিমি কিবরিয়া, নাতনি মাধুরি কিবরিয়া ও গ্রেটার লন্ডন নবীগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তুহিন চৌধুরী প্রমুখ।
    উল্লেখ্য, আসমা কিবরিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ নভেম্বর ২০১৫ সোমবার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। আসমা কিবরিয়ার জন্ম ১৯৩৭ সালে। তিনি বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার সহধর্মিনী ছিলেন। ছেলে রেজা কিবরিয়া একজন অর্থনীতিবিদ এবং মেয়ে নাজলী কিবরিয়া বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের চেয়ারম্যান।  স্বামী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার কবরের পাশে দাফন করা হয় বরণ্যে এই শিল্পিকে।