আসন্ন বাজেটে কালো টাকা সাদার সুযোগ নেইঃঅর্থমন্ত্রী

    0
    236

    আমারসিলেট24ডটকম,০৮মেঃ আগামী ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, এর আগে অনেকবার বাজেটে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে অনেক কথাও হয়েছে। তবে এবার আর এ সুযোগ দেয়া হবে না।আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আগামী বাজেট নিয়ে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত পরামর্শক কমিটির ৩৫তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
    সভায় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লাহ ওয়াহেদুজ্জামান, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, এফবিসিসিআই সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী ও হেলালউদ্দিন আহমেদ প্রমূখ বক্তব্য দেন।সভা সঞ্চালনা করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গোলাম হোসেন।
    মুহিত বলেন, দীর্ঘমেয়াদে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখা যায় কিনা, এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করমুক্ত আয়সীমা বাংলাদেশী মুদ্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দশ বছর যাবৎ অপরিবর্তিত রয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশেও আগামীতে যে করমুক্ত আয়সীমা ধার্য করা হবে তা পরবর্তী দশ বছরের জন্য অপরিবর্তিত রাখা যেতে পারে।
    আগামীতে এ ধরনের পদ্ধতি চালু করার বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
    তিনি আরো জানান, উৎপাদনমূখী যেসব খাতে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে তা আগামী অর্থবছরের বাজেটেও অব্যাহত থাকবে।
    মুহিত বলেন, সিমট্যাক্স এবং গাড়ী আমদানি শুল্ক নিয়ে বিদ্যমান জটিলতা নিরসন করা হবে। পাশাপাশি তামাকের ওপর করের পরিমাণ বাড়বে।আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা অন্তর্ভূক্তি প্রসঙ্গে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘জনকল্যাণমূলক প্রস্তাবনাসমূহ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে। সরকার বেসরকারী খাত বিকাশে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।’তিনি শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা বিধানে শিল্পমালিকদের আরো আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান।
    এফবিসিসিআই সভাপতি করহার না বাড়িয়ে করের ক্ষেত্র বা আওতা বাড়োনোর সুপারিশ করেন। বলেন, এতে যারা নিয়মিত কর দেন তাদের ওপর চাপ কমবে। পক্ষান্তরে বাড়বে রাজস্ব আয়।
    তিনি আগামী বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন।
    এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্চ হলো রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। কারণ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে, তা অর্জনে এনবিআরকে সার্বক্ষণিক অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে।
    এফবিসিসিআই আগামী অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভূক্তির জন্য ৬১৭টি প্রস্তাবানা সভায় পেশ করে। এর মধ্যে আয়কর সংক্রান্ত ১৭৫, আমদানি শুল্ক ২৮৭ এবং মূসক সংক্রান্ত প্রস্তাবনা রয়েছে ১৫৫টি।বাসস