আলে রাসুল (দ:) মাহমুদ আশরাফ আজ হেলিকপ্টারে অষ্টগ্রামে

    0
    233

     “এক ধর্মিয় সফরে ৪ দিন অষ্টগ্রামে অবস্থান করবেন তিনি”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২জানুয়ারীঃ আলে রাসুল (দ:) ও আওলাদে গাউছুল আযম (রা) কায়েদ-ই-মিল্লাত আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদ আশরাফ আল আশরাফী আল জীলানী (মা:) সাজ্জাদানাশীল, আস্তানায়ে হাসানীয়া আশরাফীয়া সরকারে কালা, কাচাউছা দরবার শরিফ ভারত থেকে  বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থান করছেন।

    আজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামে ৪ দিনের এক ধর্মিয় সফরে সকাল ১১ টায় আগমন করবেন।অষ্টগ্রামের সকল সিলসিলায়ে আশরাফীয়ার ভক্তবৃন্দকে
    অষ্টগ্রামের কোর্টবিল্ডিং মাঠে উপস্থিত থেকে তিনিকে স্বাগতম জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

    তিনি হেলিকপ্টার যোগে অষ্টগ্রাম কোর্টবিল্ডিং মাঠে অবতরন করবেন বলে  স্থানীয় আশরাফিয়া সিলসিলার সূত্রে জানা গেছে।

    সৈয়দ মাহমুদ আশরাফ আল আশরাফী আল জীলানী (মা:) শায়খে আ’যম হযরত মাওলানা ছৈয়্যদ ইযহার আশরাফ আশরাফী আল জীলানী রাহামাতুল্লাহি আলাইহি এর বড় ছাহেবজাদা এবং  গাউছে জামান হুযুর ছরকারে কালাঁন ছৈয়্যদ মুখতার আশরাফ আশরাফী জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহির দৌহিত্র।

    কে ছিলেন হুযুর শায়খে আ’যম ছৈয়্যদ ইযহার আশরাফ আশরাফী আল জীলানী রাহামাতুল্লাহি আলাইহি ?

    সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ

    শায়খে আ’যম মাওলানা ছৈয়্যদ ইযহার আশরাফ আশরাফী আল জীলানী রাহামাতুল্লাহি আলাইহিঃ
    পৃথিবীতে শুভাগমনঃ ০৬ মুহাররম, ১৩৫৫ হিজরী, ১৯৩৬ ঈসায়ী।
    তাঁর জন্মের শুভ সমাচারঃ ০৬ মুহাররম, ১৩৫৫ হিজরী। প্রপিতামহ আ’লা হযরত ছৈয়্যদ আলী হুছাই আশরাফী মিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক মদীনা শরীফে।
    বিসমিল্লাহখানিঃ০৪ বৎসর ০৪ মাস ০৪ দিন বয়সে।
    ইবতেদায়ী তা’লীমঃ ১৩৫৮ হিজরী থেকে ১৩৬৪ হিজরী, কিছাওছা দরবারে আলিয়া আশরাফিয়া।
    একাডেমিক শিক্ষাজীবনের সমাপ্তিঃ ১৩৭৭ হিজরী।
    শিক্ষাগুরু হিসেবে খিদমাতের শুরুঃ ১৩৭৭ থেকে জামিয়া নঈমিয়া মুরাদাবাদ।
    বায়আতঃ ১৩৭৮ সালে, সম্মানিত পিতা গাউছে জামান হুযুর ছরকারে কালাঁন ছৈয়্যদ মুখতার আশরাফ আশরাফী জীলানী রহমতুল্লাহি আলাইহির নিকট।
    শুভ বিবাহঃ ১৩৭৯ সালে।
    সিলসিলায়ে বায়আতের শুরুঃ১৩৮০ হিজরী, মালিগাঁও শহর থেকে।
    ওয়ালী আহদী জানাশীন হিসেবে খিলাফত লাভঃ ১৩৮৪ সালে, তখন তিনি প্রথম ছাহেবজাদা হুযুর কায়িদে মিল্লাতের বাবা হন।
    প্রথম হজ্বের সফরঃ ১৩৮৭ হিজরী।
    পাকিস্তানে আশরাফিয়া সিলসিলা’র রেজিষ্ট্রি করার অনুমতি দেনঃ ১৩৮৭ হিজরী।
    তারানায়ে আশরাফি’র তারতীবঃ ১৪০১ হিজরী।
    জামে আশরাফ সংস্কার শুরুঃ১৪০১ হিজরী।
    জিয়ারতে হারামাঈন এবং অনেক পবিত্র স্থানঃ ১৪০১ হিজরী।
    হাইদ্রাবাদের ঐতিহাসিক খিতাবাতঃ১৪০২ হিজরী।
    মসজিদে আ’লা হযরত আশরাফী নির্মানঃ ১৪১০ হিজরী।
    খানকায়ে আশরাফিয়া হাছানিয়া ছরকারে কালাঁ’র বিস্তৃতভাবে সংস্কারঃ ১৪১৫ হিজরী।
    ছাহেবজাদা কায়িদে মিল্লাত ছৈয়্যদ মাহমূদ আশরাফ জীলানী ছাহেবের ওপর জামে আশরাফের দায়িত্ব সোপর্দ করেনঃ ১৪১৫ হিজরী।
    মুখতার আশরাফ গ্রন্থাগার প্রতিষ্টাঃ ১৪১৬ হিজরী।
    আশরাফ হুছাইন মিউজিয়াম প্রতিষ্টাঃ ১৪১৬ হিজরী।
    সম্মানিত পিতা হুযুর ছরকারে কালাঁ রহমতুল্লাহি আলাইহির অন্তিম সফরঃ ১৪১৭ হিজরী।
    সাজ্জাদানশীন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনঃ ২১শে শা’বান, ১৪১৭ হিজরী।
    ছাহেবজাদা হুযুর ক্বায়িদে মিল্লাত ছাহেবকে পরবর্তী সাজ্জাদানশীন হিসেবে ঘোষণাঃ ২১শে শা’বান, ১৪১৭ হিজরী।
    করাচী থেকে মাসিক আল আশরাফ ম্যাগাজিন প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করছেনঃ ১৪১৮ হিজরী থেকে ইনতিকালের আগ পর্যন্ত।
    জামে আশরাফে দরছে বুখারী চালু করেনঃ১৪১৮ হিজরী থেকে।
    স্বীয় ভাই মুফাক্কিরে ইসলাম ছৈয়্যদ আলী আশরাফ ছাহেবকে খিলাফত প্রদানঃ ১৪১৯ হিজরী।
    মাসিক পত্রিকা“গউছুল আলম” প্রকাশনার দায়িত্ব নেনঃ ১৪২০ হিজরী।
    বাংলাদেশে তাঁর ঐতিহাসিক সফর শুরুঃ১৪২১ হিজরী।
    মুম্বাই খানকায়ে আশরাফিয়া প্রতিষ্টাঃ ১৪২১ হিজরী।
    আ’লা হযরত আশরাফী মিয়াঁ’র রওজা নির্মানঃ ১৪২২ হিজরী।
    না’তিয়া কালামের সংকলন “ইযহারে আক্বীদত” ১ম খন্ড রচনাঃ১৪২৩ হিজরী।
    প্রিয়তমা পত্নী ছৈয়্যদা নুযহাত ফাতিমা আলাইহার রাহমা’র অন্তিম সফরঃ ১৪২৪ হিজরী।
    শেষ তম হজ্বের সফরঃ ১৪২৪ হিজরী।
    শেষ তম ওমরাহ সফরঃ ১৪২৪ হিজরী।
    মাখদূম আশরাফ মেমোরিয়াল হসপিটালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনঃ ১৪২৫ হিজরী।
    আল আশরাফ একাডেমী স্থাপনঃ ১৪২৫ হিজরী।
    না’তিয়া কালামের সংকলন “ইযহারে আক্বীদাত” দ্বিতীয় খন্ড রচনাঃ ১৪২৮ হিজরী।
    খুলদাবাদ শরীফে নবী পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামের ঐতিহাসিক জুব্বা মুবারকের জিয়ারতঃ ১৪২৮ হিজরী।
    মাসিক গাউছুল আলমে নিয়মিত কলাম শুরু করেনঃ ১৪২৮ হিজরী।
    “মুম্বাই মাদরাছায়ে আশরাফিয়া দারুল উলূম আলী হাসান” প্রতিষ্টাঃ ১৪২৮ হিজরী।
    “তাফসীরুল কুরআন ইযহারুল বয়ান”ঃ ১৪২৯ হিজরী।
    রওজায়ে ছরকারে কালাঁ নির্মানঃ ১৪৩০ হিজরী।
    বাংলাদেশে দ্বীনী দরসগাহ “ইযহারুল উলূম” প্রতিষ্টাঃ ১৪৩১ হিজরী।
    বাংলাদেশে শেষ সফরঃ ১৪৩২ হিজরী, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ।
    খাজা গরীব নেওয়াজের দরবারে (৪০তম) আখিরী হাজিরীঃ ১৪৩২ হিজরী, গরীব নেওয়াজের ওরছ শরীফে।
    প্রপিতামহ আ’লা হযরত আশরাফি মিয়া’র না’তিয়া কালামের সংকলন “তাহায়িফে আশরাফী” গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ করেনঃ ১৪৩৩ হিজরী।
    জামে আশরাফে খতমে বুখারী অনুষ্টানে শেষতম তাক্বরীরঃ ১৪৩৩ হিজরী।
    মুম্বাই দারুল উলূম আলী হাছান মাদ্রাছায় দরসে বুখারীর ছবক প্রদানঃ ১৪৩৩ হিজরী।
    অন্তিম সফরঃ ২৯ রবিউল আওয়াল শরীফ, ১৪৩৩ হিজরী, রোজ বুধবার, মুম্বাই ইসমাঈলিয়া হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায়।
    নামাযে জানাজাঃ পহেলা রবিউস সানী, ১৪৩৩ হিজরী, রোজ জুমআ বার।
    ইমামে জানাজাঃ বড় ছাহেবজাদা সাজ্জাদানশীন হুযুর ক্বায়িদে মিল্লাত আল্লামা ছৈয়্যদ মাহমূদ আশরাফ জীলানী।
    তাদফীনঃ পহেলা রবিউস সানী, ১৪৩৩ হিজরীর, নামাযে মাগরীবের পর মহান পিতা’র রওযা’র পার্শ্বেই তাঁকে সমাহিত করা হয়।