আরো ৩ জন মন্ত্রী শপথ নিচ্ছেন আজ

    0
    195

    আমারসিলেট24ডটকম,২৬ফেব্রুয়ারীঃ নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার আকার বাড়ানো হচ্ছে। আজ বুধবার আরো অন্তত ৩ জন শপথ নেবেন বলে জানা গেছে।তাদের মধ্যে ২ জন মন্ত্রী এবং ১ জন প্রতিমন্ত্রী। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীসহ ৪৯ জন সদস্য রয়েছেন। নতুন এ ৩ জন যোগ হলে এ সংখ্যা হবে ৫২। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা ইতোমধ্যেই তাদেরকে ফোন করে শপথ নেয়ার জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছেন।
    পক্ষান্তরে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় যে ৩ জন নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তির খবর পাওয়া গেছে তারা হলেন দিনাজপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত এ এইচ মাহমুদ আলী, চাঁদপুর-৫ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এবং নরসিংদী সদর থেকে নির্বাচিত সাংসদ কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম।
    সরকারের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনায় রয়েছেন আবুল হাছান মাহমুদ আলী। তিনি গত নবম জাতীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং সর্বদলীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রফিকুল ইসলামকে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রথমদিকে কিছুদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। আর নজরুল ইসলামকে কোনো একটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
    জানা যায়, সামরিক শাসক এরশাদ সরকারের পতন হলে ১৯৯০ সালে দেশের প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম মন্ত্রী পদমর্যদায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এর পর ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি  নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
    এছাড়া ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাজিগঞ্জ শাহরাস্তি এলাকা থেকে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
    অন্যদিকে আবুল হাসান মাহমুদ আলী দিনাজপুর-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসবে দায়িত্ব পালন করেন। নবম সংসদে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। নির্বাচনকালীন সরকারে দীপু মনি বাদ পড়লে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।
    সফল কূটনীতিক মাহমুদ আলী ১৯৬০ এর দশকে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদে আসেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আহত হয়েছিলেন মাহমুদ আলী, যিনি ১৯৯০ এর ডিসেম্বরে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব থাকাকালে সহকর্মীদের নিয়ে এইচ এম এরশাদ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে ২০০১ সালে অবসরে যান মাহমুদ আলী। এর আগে জার্মানি ও ভুটানেও তিনি রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
    প্রসঙ্গত,গত ১২ জানুয়ারি বর্তমান সরকারে শপথ নেন ৪৯ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী। প্রায় দেড় মাসের মাথায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব এখনো কাউকে দেয়া হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শাহরিয়ার আলম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এবং স্বরাষ্ট্রে আসাদুজ্জামান খান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।