আমেরিকায় ইসলামের পক্ষে লেখার কারণে আমাকে যদি রাস্তায় কুপিয়ে মেরে ফেলা হত?

    0
    215

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০মার্চ,গোলাম দস্তগীর লিসানীঃ  ব্লগার ও নাস্তিক হত্যার সংস্কৃতিটা বোধহয় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সাধারণ কালচারে পরিণত হল! ওয়াশিকুর রহমান (ওয়াশিকুর বাবু) আগের সবার মত করেই চাপাতির কোপ খেয়ে মরলেন। তার ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকলাম… এই যে সদ্য মৃত একজন মানুষের জীবন দেখার জন্য ঢুঁ মারা- এটাও কেমন যেন ভোঁতা অনুভূতিতে পরিণত হয়েছে।

    আমরা যে সভ্য একটা দেশের মানুষ, সভ্য ধর্মের অনুসারী- এইটা প্রমাণ করার জন্য চাপাতি লাগে না। আর চাপাতি দিয়া এইটা প্রমাণ করা যায় না।

    কত্তখানি অমানবিক! কিছু মানুষ একটা মত পোষণ করে বলে তাদের রাস্তায় রাস্তায় কুপিয়ে মেরে ফেলছি আমরা! ছিহ্! থুহ্! বর্বর কি গাছে ধরে? সংখ্যালঘু হয়ে এই দৃশ্যটা একবার কল্পনা করিতো! আমি মুসলিম, আমেরিকায় যদি ইসলামের পক্ষে লেখার কারণে আমাকে রাস্তায় রাস্তায় কুপিয়ে মেরে ফেলা হত- অথচ সব স্বাভাবিক থাকতো?

    অবমাননা করেছে, মামলা করার হ্যাডম নাই, মুখ ফুটে দুইটা সুস্থ জবাব দেয়ার হ্যাডম নাই- কোপায়া মাইরা ফালায়।

    সিরিয়াসলি, বাংলাদেশের রেপুটেশন, এদেশের সাধারণ মুসলমানের ধর্মের স্বাভাবিক যে নামটুকু- সব ডোবাচ্ছে মধপ্রাচ্য থেকে তেলবেচা টাকায় আমদানি করা নব্য অন্তর্ঘাতি সন্ত্রাসবাদ, আর কলঙ্ক হচ্ছে আমাদের।

    আজো যদি সন্ত্রাসবাদ চোখে না পড়ে, পরে সন্ত্রাসবাদের আঙুল এসে ওই চোখ গেলে দিয়ে যাবে। শুধু যে এইডস থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে তা না, সন্ত্রাসবাদ থেকে বাঁচতে হলেও ওই জানতেই হবে। নিজে যেন সেইসব মতাবলম্বী না হই, যেন ছোট ভাইটা না হয়, যেন শিক্ষিতদের মধ্যে যে ‘পিস-রোগ’ এর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে, সেটা একটু হলেও কমে- সেই চেষ্টা না করাও এখন পাপ।

    আর নাস্তিক মরলে যারা হাততালি দিচ্ছ, সবুর কর, হাত ব্যথা হয়ে যাবে। যারা নাস্তিক কোপাচ্ছে উনিশ বিশ বলে, তারাই তোমাকে কোপাবে কবর পূজারী বলে, আরেকজনকে কোপাবে শহীদ মিনার পূজারী বলে, আরেকজনকে কোপাবে “ভোটার” বলে, ইভেনকি “তাবলিগ” বলেও কোপাবে। মতবাদের নামে হত্যার শেষ ফলাফল যে কী, সেই দৃশ্যপট দেখার জন্য যারা বেঁচে থাকবে তারা জানবে বীভৎসতা কাকে বলে?