আমিরাতে কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্তান অর্জন করেন ১২বছর বয়সী বাংলাদেশি হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া 

    0
    367

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪জুলাই,নজির আহমেদ আমিরাত থেকে:আরব আমিরাতে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে আয়োজিত ১৯তম দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরআন অ্যাওয়ার্ডের চূড়ান্ত পর্বের ফল মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় ৭৬ প্রতিযোগীর সাথে লড়াই করে তৃতীয় স্থান অর্জনকরেন ১২ বছর বয়সী বাংলাদেশি হাফেজ মুহাম্মদ জাকারিয়া। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী হিসেবে তাকে দেড় লাখ ইউএই দিরহাম পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর আগে গত রোববার একই প্রতিযোগিতায় সুন্দর কণ্ঠ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করে জাকারিয়া। সুন্দর কণ্ঠে বিজয়ী হিসেবে তাকে পুরস্কার দেয়া হয় দশ হাজার দিরহাম।

    দুবাইয়ের সাইন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনমিলনায়তনে চূড়ান্ত পর্বের ফল ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন শেখ আহমদ বিন মুহাম্মদ ও হলি কোরআনের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বু মুলহা।প্রতিযোগিতার চ‚ড়ান্ত পর্বে সৌদি আরবের প্রতিযোগী ফয়সাল মুহাম্মদ আল হারতি ও ইউএসএর প্রতিযোগী হামজা আল হাবাশি পর্যায়ক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হন। তাদের যথাক্রমে আড়াই লাখ ও দুই লাখ দিরহাম পুরস্কৃত করা হয়।

    জাকারিয়ার গ্রামের বাড়ি ভোলা চরফ্যাশনে। তার পিতা হাফেজ মাওলানা ফয়েজ উল্ল্যাহ মানিকগঞ্জ হরিরামপুরেরএকটি মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন। ৭ বছর বয়স থেকে জাকারিয়া পবিত্র কোরআনে কারিম হেফজ করা শুরু করেন। এর আগে সে মিশর, জর্ডান ও কাতারসহ বেশ কয়েকটি দেশে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মিশরে প্রথম, জর্ডানে তৃতীয় এবং কাতারে চতুর্থ স্থানের অধিকারী হন। উল্লেখ্য, ১৯তম দুবাই আন্তর্জাতিক হলি কোরআন পুরস্কার প্রতিযোগিতা গত ২৪ জুন দুবাই চেম্বার অব কমার্সের অডিটোরিয়ামে শুরু হয়।

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৮০ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ইউক্রেন, তুর্কি, মেসিডোনিয়া, ফিনল্যান্ড, সেনেগাল, বসনিয়া এবং বেলজিয়ামের ৭ জন প্রতিযোগী প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েন। বাকি ৭৬ জন থেকে ৪১ জন ফাইনাল পর্বে উন্নীত হয়। হলি কোরআন প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড.ওমর আল খাত্তাব বলেন, এ ধরনের একটি প্রতিযোগিতার কো-স্পন্সর হতে পেরেআমরা গর্বিত।

    এ ধরনের প্রতিযোগিতা নতুন প্রজন্মকে পবিত্র কোরআন হেফজের জন্য উৎসাহিত করবে। আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মুহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুমের সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতার প্রতি তার গভীরভালবাসার নিদর্শন। শাইখা ফাতিমা বিনতে মোবারককে বছরের সেরা ইসলামিক মহিলা ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মাননা জানিয়ে ড. খাত্তাব বলেন, তাকে এই সম্মাননা প্রদান শুধু ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত নয়, এটা সব আমিরাতি এবং এখানে বসবাসকারী সব অধিবাসীর প্রত্যাশা এবং গর্ব, যার অনেক অবদান দেশে এবং বিদেশেসমাদৃত হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার আহমেদ ওবাইদ আল সায়েগ, ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল অব ফায়ার ফাইটিং অ্যান্ড রেসকিউ বলেন, কোরআনপ্রতিযোগিতার এ আয়োজন বিশ্বের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিমে সকলহাফেজে কোরআনদের আকর্ষণ করেছে।