আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৬মার্চঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের নিরাপত্তা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হাতাহাতি, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের রাজনীতি পরিহার এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে ‘না ’ বলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এক শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণদানকালে তিনি এ আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের শিশুরা যাতে মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে, এ জন্য একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে আমাদের মাতৃভূমিকে গড়ে তুলতে প্রত্যেককে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে না বলতে হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিপনা করছে এবং আগুন দিয়ে শিশুদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে, তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। যারা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে, জাতির কখনোই তাদেরকে ক্ষমতা করবে না। জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর কোনো শিশুর এভাবে মৃত্যু হোক আমরা তা কখনোই প্রত্যাশা করি না। আর কেউ শিশুদেরকে স্কুলে যেতে বাধা দিতে পারবে না।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা শিক্ষা বছরের প্রথম দিকে শিশুদের হাতে বই তুলে দিয়েছিলাম যাতে তারা লেখা-পাড়ায় মনোনিবেশ করতে পারে এবং তাদের শিক্ষা জীবনের একটি দিনও যাতে নষ্ট না হয়। অথচ আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই প্রত্যাশা পূরণে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি-জামায়াত জোটের লোকেরা মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। এমনকি কোমলমতির শিশুরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। তারা শিশু-কিশোরদের পরীক্ষা দিতে বাধা সৃষ্টি করছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের জনগণ সমাজে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করে। বর্তমান সরকার জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীদিনেও এগিয়ে যাবে।”
৪৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসন এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জীপে করে দিবসটি পালন উপলক্ষে আয়োজিত প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। তিনি বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং শিশুদের শারীরিক কসরত প্রত্যক্ষ করেন।