আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা:প্রধানমন্ত্রী

    0
    219

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১মেঃ  দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার জীবনযাত্রার ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে শ্রমিকদের জন্য বেতন কমিশন ঘোষণার কথা বিবেচনা করছে। যাতে তারা পর্যাপ্ত বেতন-ভাতা পেতে পারে। ঐতিহাসিক মে দিব.২০১৫’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
    শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সবসময়ই শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের কল্যাণের প্রতি নিবেদিত ছিলো। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার সরকারি খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করে মজুরি কমিশন ঘোষণা করে। পাশাপাশি তাঁর সরকার বিগত মেয়াদে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে।

    তিনি বলেন, শান্তি ও স্বস্তির মধ্যে আর্থিক স্বচ্ছলতা নিয়ে শ্রমিকরা যাতে জীবন যাপন করতে পারে সে জন্য আমরা ভবিষ্যতে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মজুরি কমিশন ঘোষণা করবো। তিনি পরস্পরের স্বার্থে কলকারখানায় উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় ও বহিরাগতদের দ্বারা ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়। এতে কলকারখানার ক্ষতি ও উৎপাদন ব্যাহত হয়। তিনি শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার ও তাদের কল্যাণ, শিক্ষা এবং কাজের সুষ্ঠু পরিবেশসহ তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য সেবার প্রতি নজর দেয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহবান জানান।

    শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের অধিকার রক্ষায় তার সরকারের দৃঢ় সংকল্পের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সাধারণ মানুষের দল। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এ প্রসঙ্গে তিনি স্বাধীনতার পর পর উৎপাদন শুরু করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক পরিত্যক্ত কলকারখানা জাতীয়করণের কথা উল্লেখ করেন।
    বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস বি. রেড্ডি। বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি তপন চৌধুরী এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ প্রমুখ।