আবার চলছে ভাইবার-হোয়াটস আপ

    1
    567

    আমারসিলেট24ডটকম,২২জানুয়ারীঃ আবার চালু হলো ইন্টারনেটে দ্রুত ম্যাসেজ আদান-প্রদান ও কথা বলার বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যম ভাইবার ও হোয়াটস আপ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভাইবারে ম্যাসেজ আদান-প্রদান করা গেলেও কথা বলা বন্ধ ছিলো। তারপর রাত ১২টার পর থেকে ম্যাসেজ আদান-প্রদানসহ গ্রাহকদের সব সেবা দিতে শুরু করে ভাইবার ও হোয়াটস আপ। কথা বলা, চ্যাট করা, ছবি ও ভিডিওবার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে এসব সফটওয়্যার গ্রাহকরা বেশ পছন্দ করছিলেন ভাইবার ও হোয়াটস আপ। থ্রি-জি, ফোর-জি এবং ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কাজ করে থাকে এসব সফটওয়্যার।
    উল্লেখ্য,গত ১৭ জানুয়ারি ভাইবার ও ট্যাঙ্গো এবং ১৯ জানুয়ারি হোয়াটস আপ, মাইপিপল ও লাইন বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পরে শনিবার রাত থেকেই পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হয় ভাইবার ও ট্যাঙ্গো। প্রথমে মোবাইল অপারেটরগুলোকে ও পরে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্সধারীদের এ নির্দেশ দেয়া হয়।

    পরে ১৯ জানুয়ারি বন্ধ করে দেয়া হয় হোয়াটস আপ, মাইপিপল ও লাইন।
    এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভাইবার, হোয়াটস আপের মতো কয়েকটি মেসেজিং এপ্লিকেশন বন্ধ করার সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ব্যবহারকারীরা বলছেন, পূর্বঘোষণা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নীতিবিরুদ্ধ। আপস বন্ধের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, অবরোধের মধ্যে এসব ব্যবহার করে নাশকতার পরিকল্পনা সহজেই ছড়িয়ে দেয়া যায়; ব্যবহারকারীর অবস্থান নির্ণয়ও সম্ভব হয় না। এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব দেখা যায় অনেককে।
    অপরদিকে দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগে থেকে কোন রকম বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে হঠাৎ করে এসব আপস বন্ধ করা উচিৎ হয়নি। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে তিনি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বলেন, সারা বিশ্বে এ প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এটি বন্ধ করে দেয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত। এটা তো মানুষের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা।

    তিনি আরও বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কি আসলেই এগুলো বন্ধ করতে পেরেছে? নাকি কিছু মানুষের জন্য এটি ব্যাবহার কঠিন করেছে। মানুষ কিন্তু ঠিকই এগুলো ব্যাবহার করতে পারছে। এ ধরনের প্রযুক্তি বন্ধ না করে দিয়ে বরং সংশ্লিষ্টদের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির পরামর্শ দেন তিনি।