আত্রাইয়ে নির্মিত হচ্ছে পল্লীবিদ্যুতের দু’টি শক্তিশালী উপ-কেন্দ্র

    0
    222

    নাজমুল হক নাহিদ,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:  নওগাঁর আত্রাইয়ে পল্লীবিদ্যুতের দু’টি শক্তিশালী উপ-কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এ দু’টি উপ-কেন্দ্র চালু হলে আত্রাইয়ে বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাপ থাকবে না। ফলে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবল থেকে মুক্তি পাবেন উপজেলার হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক।

    জানা যায়, ৯০ এর দশকে আত্রাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম চালু হয়। সে সময় হাতেগোনা কয়েক শ গ্রাহক ছিল সমগ্র উপজেলা জুড়ে। ১টি ফিডারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো বিদ্যুৎ। তাও আবার নিয়ন্ত্রীত ছিল নওগাঁর অধীন। বর্তমানে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে রয়েছে শিল্প, বাণিজ্যিক, আবাসিক ও দাতব্য সংযোগ। এসব গ্রাহকদের এলাকা ভিত্তিক ৬টি ফিডারে ভাগ করা হয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কয়েক বছর পূর্বে আত্রাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের একটি সাব-স্টেশন গড়ে তোলা হয়। এ সাব-স্টেশন থেকে ৬ ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক সংযোগে বিদ্যুৎ সরবারাহ করতে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ পাওয়া যায় খুবই কম। ফলে প্রাপ্ত ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ দিয়ে উপজেলা সদর ফিডার সচল রাখলেও মফস্বঃল ফিডারগুলোতে লোড শেডিংয়ের চাপ থাকতো অনেক বেশি।

    এদিকে “প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এ শ্লোগানকে বাস্তবায়িত করতে ২০১৮ সালে আত্রাই উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়। শহর থেকে গ্রামে প্রতিটি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ফলে এ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে অনেক বেশি। এ চাহিদা মেটাতে নতুন করে ৩৩/১১ কেভি দু’টি উপ-কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া গ্রামে একটি ও হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের বান্দাইখাড়া বাজারে একটি উপ-কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ভরতেঁতুলিয়া উপকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে প্রাথমিকভাবে তা চালু করা হয়েছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ উপকেন্দ্রগুলো পুর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে বিদ্যুতের ঘাটতি অনেক কমে আসবে। বর্তমানে সচল ৬ টি ফিডারের গ্রাহকদের ১০ ফিডারের আওতায় আনা হবে। এতে করে বর্তমানের চেয়ে তারা অনেক বেশি বিদ্যুৎ পাবেন।

    এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনের এজিএম মো. ফিরোজ জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। এলাকাবাসী যেন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায় এবং লোড শেডিংয়ের কবলে পড়তে না হয় এ জন্য আত্রাইয়ে দুইটি শক্তিশালী ৩৩/১১ কেভি দু’টি উপ-কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের ফিডারগুলো অনেক লম্বা রয়েছে। এ উপকেন্দ্র দু’টি চালু হলে ফিডার সংখ্যা বেড়ে যাবে, তাতে প্রতি ফিডারের আওতায় গ্রাহক সংখ্যা কমে আসবে। ফলে ফিডার ভিত্তিক বিদ্যুতের চাপ কমে আসবে। তখন আর গ্রাহকদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে না।