জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অনশনরত সাদাত হোসেন নিলয় জানালেন, আজ কথা বলতে পারছি, মনে হয় আগামীকাল আর সেটিও পারব না। তবুও আমরা পিছপা হব না।’
শহীদ রুমী স্কোয়াডে অনশনরত সাদাতের বয়স ২৭ বছর। মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর একাত্তরে শহীদ রুমীর আত্মত্যাগ তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। সাদাতকে নতুন এই লড়াইয়ে সাহস দিচ্ছে ২১ বছর আগে ১৯৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে করা আন্দোলন। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের জন্য সাদাতের লড়াইয়ের রসদ এসবই।
গত ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা থেকে অনশন শুরু করেছেন সাতজন তরুণ। দিন যতই গড়িয়েছে, শারীরের শক্তি ক্ষয়ে আসছে সাদাতের সঙ্গে থাকা মেহেদী, শরীফুল, আকাশ, রুবায়েত, নাজমুলদের। তবে মানসিক দৃঢ়তা, শক্তি সবই যেন সময়ের স্রোত গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে।
অনশনকারীর সংখ্যা এখন আর সাতজনে থেমে নেই। সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। সাদাত বলেন, ‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে আমাদের সাফল্য নিয়ে আসতে হবেই। আমাদের বাবা-মায়েরা উদ্বিগ্ন হলেও, সাহস দিতে একেবারেই দ্বিধা করছেন না।’
নিজেদের সতেজ রাখতে তাঁদের কেউ পড়ছেন জীবনানন্দের ‘কবিতা সমগ্র’, কেউ আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’। আবার কেউবা ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত। তাঁদের চারদিকে টাঙানো আছে ‘আমরা বাড়ি যাচ্ছি না, বেঈমানদের ছাড়ছি না’, ‘তারুণ্যের স্ফুলিঙ্গে নতুন মুক্তিযুদ্ধ’ লেখা ব্যানারগুলো।
প্রতিদিনই প্রগতিশীল ব্যক্তি, সংগঠন অনশনে সংহতি জানাচ্ছে। আজ শুক্রবার দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সংখ্যা বাড়ছিল।
আজ শহীদ রুমীর ৬২তম জন্মবার্ষিকী। গত রাত ১২টায় তাঁরা ৬২টি মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদ রুমীকে স্মরণ করেছেন।