আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৪

    0
    284

    আমারসিলেট24ডটকম,০৩এপ্রিলঃ আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৪। অন্যান্য বছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে রাজধানী ঢাকাসহা সারাদেশে দিবসটি পালন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘এগিয়ে চলি ভবিষ্যৎ সৃজনে’। দিবসটিকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, চলচ্চিত্র নির্মল বিনোদনের পাশাপাশি আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্বাধিকার আন্দোলনের গৌরবময় অধ্যায় তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জনগণকে মুক্তির সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছে। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্র শিল্প তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করে আবদুল হামিদ বলেন, এদেশে নির্মিত হবে সুস্থ বিনোদনমূলক বিশ্বমানের চলচ্চিত্র। দর্শকরা আবারও প্রেক্ষাগৃহমুখী হবে। চলচ্চিত্র শিল্প দেশের জন্য বয়ে আনবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সম্মান।
    আবদুল হামিদ বলেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। চলচ্চিত্রের জীবনঘনিষ্ঠ ও হৃদয়গ্রাহী আবেদন সকল শ্রেনী-পেশার মানুষের হৃদয়কে প্রবলভাবে স্পর্শ করে। দেশের জনগণকে চলচ্চিত্র সচেতন করার লক্ষ্যে ‘এগিয়ে চলি ভবিষ্যৎ সৃজনে’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ৩ এপ্রিল তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের আয়োজনে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৪’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি আনন্দ প্রকাশ করেন। একই সাথে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৪’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন তিনি।
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেন। সরকার এ দিনটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস হিসাবে ঘোষনা করে। দিনটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ও চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
    জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৪ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিগগিরই জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। চলচ্চিত্র শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
    শেখ হাসিনা বলেন, অস্বচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি কল্যাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করায় চলচ্চিত্র এখন সকল ধরনের শিল্প সুবিধা ভোগ করছে। চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদান অব্যাহত রাখা হয়েছে। শিল্পী ও কলা কুশলীদের সুস্থ বিনোদনমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণে অধিকতর উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সকল সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণে শিল্পী-কুলাকুশলীরা এগিয়ে আসবেন। চলচ্চিত্রে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। চলচ্চিত্র শিল্পের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হোক-এটাই আমার প্রত্যাশা।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত ও অপরিমেয় শক্তির কথা উপলব্দি করে ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে তদানীন্তন প্রাদেশিক আইন পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে আমরা চলচ্চিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছি। তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের আয়োজনে আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। একই সাথে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৪ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন তিনি।