আজ পবিত্র মে’রাজ রজনীঃআসুন পাপ থেকে ক্ষমা চাই

    0
    393

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪এপ্রিল,মায়াঃ  হিজরী চান্দ্র সনের রজব মাস এলেই মুমিনদের (বিশ্বাসীদের) সামনে চলে আসে প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর মেরাজের (উর্ধগমনের) বিষয়টি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে এক রাতে মক্কা নগরী থেকে প্রথমে বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ে যান।সকল নবী গনের নামাজে ইমামতি করে  সেখান থেকে উর্ধ থেকে উর্ধাকাশে সাত আকাশ পাড়ি দিয়ে নিজের একান্ত সান্নিধ্যে নিয়ে যান।
    এ রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে নিজের কাছে নিয়ে আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতের জন্য বহু নিয়ামত দিয়েছেন এর মধ্যে  তিনটি নিয়ামত অতি গুরুত্বপুর্ন। ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ (সালাত), সূরা বাকারার শেষ আয়াত গুলো এবং এই সুসংবাদ, তাঁর উম্মতের মধ্যে যারা আল্লাহর সঙ্গে শিরকে লিপ্ত হয়নি, তাদের গোনাহ গুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।’ (মুসলিম শরীফ)
    মহান প্রভুর পক্ষ থেকে আগত এই উপহার গুলোকে যথাযথ মর্যাদা দিতে হলে আমাদের অবশ্যই নিচের বিষয় গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে যেমন-পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নামাজের ভেতর ও বাইরের ফরজ গুলোর পাশাপাশি ওয়াজিব,সুন্নত,মুস্তাহাব গুলোর প্রতিও যত্নবান হতে হবে। জামাতের প্রতিও যত্নবান হতে হবে।হাদিসে যেভাবে নামাজ পড়তে বলা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই আমাদের নামাজ আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।সূরা বাকারার শেষ আয়াতগুলোকে সামনে রেখে নিজেদের ঈমান-আকিদা ঠিক করে নিতে হবে। আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত সব নবী-রাসুল (আঃ) ও কিতাবকে সত্য বলে বিশ্বাস করতে হবে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত  ও প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম কর্তৃক অনুমোদিত সব বিধি বিধানকে কোনো ধরনের যুক্তি-প্রমাণ ছাড়াই মেনে নিতে হবে। সবসময় আল্লাহর কাছে নিজের জানা অজানা সকল অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
    নিজে এবং পরিবারের সকলকে সব ধরনের শিরক থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ‘আল্লাহ তায়ালা তাঁর সঙ্গে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না, এছাড়া অন্য যে কোনো গোনাহ তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন।’ (সূরা নিসা)।
    হাদিসে শিরককে সবচেয়ে বড় গোনাহ বলেও অভিহিত করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের সমাজে কলেমা পাঠকারী অনেক মুসলমান নিজেদের অজ্ঞতার দরুন প্রকাশ্য  ছোট বড় শিরকে লিপ্ত। জেনে-না জেনে তারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কিছুকে শরিক যাতে করতে না পারে সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় নবীকে স্বস্নেহে নিজের  অতি কাছে নিয়ে গিয়ে  ও এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন তার উম্মতের সবাইকেই ক্ষমা করে দেওয়া হবে, তবে যারা শিরকে লিপ্ত তাদের ক্ষমা করা হবে না।তাই শিরক সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।