আজ থেকে দঃ কোরিয়ায় চাকরি প্রত্যাশীদের দক্ষতা যাচাই

    0
    243

    আমারসিলেট24ডটকম,২১ফেব্রুয়ারীঃ দক্ষিণ কোরিয়ার হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলাপমেন্ট সার্ভিসের (এইচআরডি কোরিয়া) এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) সেন্টার আজ শুক্রবার থেকে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষা (স্কিল টেস্ট) আয়োজন করেছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
    ঢাকায় কোরীয় দূতাবাস জানায়, এবারের স্কিল টেস্টে ৫৭১ জন প্রার্থী অংশ নেবে। কোনো প্রার্থী তিনটি বিষয়ে মোট তিনশ’ নম্বরের মধ্যে সর্বনিন্ম ২৪০ পেলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভূক্ত হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রার্থীরা চাকরির ক্ষেত্রে (জব ম্যাচিংয়ে) টানা দুই বার অগ্রাধিকার পায়। তাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি থাকে।
    বাংলাদেশ ইপিএস সেন্টারের পরিচালক লি মিনহোয়া বলেন, বর্তমানে কোরিয়ায়  অবস্থানরত কর্মীরা কোম্পানি পরিবর্তন না করে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে মালিকরা বাংলাদেশি শ্রমিকদের আরো বেশি পছন্দ করবে এবং অবৈধ বসবাসের হার কমলে আরো বেশি হারে কোরিয়ায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
    বাংলাদেশের চাকরি প্রত্যাশীরা এবারের স্কিল টেস্টে ভাল ফলাফল করে আরও  বেশী হারে কোরিয়ায় যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
    দূতাবাস  সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া ইপিএস’র মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের জন্য ২০০৭ সালে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর আওতায় কর্মী নিয়োগ শুরু হয় ২০০৮ সালে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী সরকার-সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে কোরিয়া গেছে। কোরিয়ার শ্রম মান আইন অনুযায়ী, স্থানীয় ও বিদেশি কর্মী সবাই নুনতম মজুরি ও বীমা সুবিধার ক্ষেত্রে সম অধিকার  ভোগ করে। অধিকাংশ কোরিয়ান মালিকই থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও করে,বিধায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের কাছে চাকরির জন্য কোরিয়া সবচেয়ে পছন্দের দেশ।
    ইপিএস অনুযায়ী একজন শ্রমিক প্রথম পর্যায়ে ৩ বছর চাকরি করতে পারে এবং মালিক চাইলে চাকরির মেয়াদ আরো ১ বছর ১০ মাস বাড়ানো যায়। ৪ বছর ১০ মাস একই কোম্পানিতে কাজ করলে মালিকের সঙ্গে আবারও চুক্তি করে দেশে এসে ৩ মাস পর আবার কোরিয়ায় গিয়ে একই কোম্পানিতে ৪ বছর ১০ মাস কাজ করা যায়।
    এছাড়াও কোরিয়া বিদেশি শ্রমিকদের বিনামূল্যে কিছু কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে যাতে তারা স্বদেশে ফিরে যাওয়ার পর সফলতার সঙ্গে বসবাস করতে পারে। কোরিয়া ফেরত শ্রমিকদের এ দেশে কোরীয় কোম্পানিতে চাকরি খুঁজে দেওয়ার চষ্টো করে দেশটি। এর ফল হিসেবে গত বছর বাংলাদেশে প্রায় ৩০ জন এবং এ বছর ১৫ জনের কোরীয় কোম্পানিতে চাকরি হয়েছে বলে জানা গেছে।